মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কে পাচ্ছেন মহাজোটের টিকিট

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

কে পাচ্ছেন মহাজোটের টিকিট

জাতীয় সংসদের চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে আগামী ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় উপনির্বাচনে কে পাবেন মহাজোটের মনোনয়ন তা নিয়ে তীব্র জল্পনা চলছে। গুঞ্জন চলছে কেন্দ্র থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের তৃণমূলেও মহাজোট প্রার্থী হওয়ার জন্য লবিং-তদবিরের শেষ নেই মনোনয়নপ্রত্যাশীদের। গত ৭ নভেম্বর মঈন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। ইতিমধ্যে মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম বৈঠকে সাবেক মন্ত্রী ও দলের সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে।

মহাজোটের মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য হিসেবে যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তারা হলেন প্রয়াত মঈন উদ্দীন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান বাদল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, বিএনএফের  চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ নুরুল ইসলাম। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ৯ম সংসদে চট্টগ্রাম-৯ কোতোয়ালি আসনের এমপি ছিলাম। দশম নির্বাচনে ছেড়ে দিয়েছি মহাজোট নেত্রীর সিদ্ধান্তে। এবার চট্টগ্রাম-৮ শূন্য আসনের উপনির্বাচনে দল আমায় মনোনীত করায় এখানে নির্বাচন করব। যেহেতু গত নির্বাচনে জোটনেত্রীর সিদ্ধান্তে প্রার্থী হইনি, তাই আশা করি এবার নেত্রী এই আসনটি জাপাকে ছেড়ে দেবেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, মহাজোটের হেভিওয়েট নেতা জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু গতবার ১০ম নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও পাননি। এবার হয়তো তিনিই পেতে পারেন। তাছাড়া প্রয়াত নেতা মঈন উদ্দীন খান বাদলের স্ত্রীও আলোচনায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা মোছলেম উদ্দিন আহমেদকে কেন্দ্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ বা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আবারও দায়িত্ব দেওয়া না হলে  তাকেও মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। সবমিলে এই উপনির্বাচনে কার ভাগ্যে মনোনয়ন আসছে তা দেখার জন্য সবাই অপেক্ষা করছেন। দলীয় নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির হেভিওয়েটসহ বিভিন্ন প্রার্থীর নাম আলোচনায় আসছে। ইতিমধ্যে অনেকেই নানা কৌশলে মনোনয়ন নিশ্চিত করতে লবিং-তদবিরও শুরু করেছেন। তাছাড়া তৃণমূলে আলোচনায় উঠে আসছে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের ত্যাগ, যোগ্যতা, অতীত কর্মকা  এবং ইউপি নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্তকরণে নেতাদের কেমন ভ‚মিকা ছিল, সেই নানা ইস্যুও সামনে উঠে আসছে। তা ছাড়া দুটি সংসদ নির্বাচনে হেরে যাওয়া নিয়ে মোছলেম উদ্দিনের ব্যাপারে দলের উচ্চ পর্যায়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমনি প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে আবদুচ ছালামকেও। টানা ৬ দফায় সিডিএ’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনসহ নানাবিধ বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-৮ আসনটি চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩, ৪, ৫, ৬ ও নম্বর ওয়ার্ড এবং বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল ইউনিয়ন, পশ্চিম গোমদী ইউনিয়ন, পূর্ব গোমদী ইউনিয়ন, শাকপুরা ইউনিয়ন, সারোয়াতলী ইউনিয়ন, পোপাদিয়া ইউনিয়ন, চরণদ্বীপ ইউনিয়ন, আমুচিয়া ইউনিয়ন ও আহল্লা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৮। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯২২ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ জন। বোয়ালখালী উপজেলায় ভোটার ১ লাখ ৬৪ হাজার। কেন্দ্র সংখ্যা ১৮৯টি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর