শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

অবশেষে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে মজুরি স্লিপ

শঙ্কায় ২০ হাজার বদলি শ্রমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

দীর্ঘ সাড়ে চার বছর আন্দোলনের পর খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের ২০১৫ সালে প্রণীত জাতীয় মজুরি কমিশনের স্কেল অনুযায়ী মজুরি স্লিপ দেওয়া হয়েছে। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রমিক নেতাদের উপস্থিতিতে খুলনার পাটকলগুলোয় স্লিপ দেওয়া হয়। নতুন স্কেলে প্রায় দ্বিগুণ মজুরির স্লিপ পেয়ে আর্থিক অনটনে থাকা শ্রমিকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে একই সঙ্গে প্রায় ২০ হাজার বদলি শ্রমিকের চাকরি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) পক্ষ থেকে          মিলের আর্থিক ব্যয় সংকোচনের জন্য এসব শ্রমিককে মিলের কাজে না লাগানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জানা যায়, ২০১৫ সালের মজুরি স্কেল অনুযায়ী পাটকলের প্রায় ৩০ হাজার স্থায়ী শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। গতকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, আলীম, ইস্টার্ন, জেজেআই ও কার্পেটিং নামের নয়টি পাটকলে নতুন মজুরি স্কেল অনুযায়ী প্রায় ৬ কোটি ৮৫ লাখ ৮১ হাজার টাকার মজুরি স্লিপ দেওয়া হয়েছে। আর সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর এক সপ্তাহের আগের মজুরি স্কেল অনুযায়ী মজুরি স্লিপ দেওয়া হয় ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৫ হাজার টাকার।

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘ আন্দোলনের পর শ্রমিকরা পে-কমিশনের স্লিপ হাতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। এতে শ্রমিকদের বেতন প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে ২০ হাজার বদলি শ্রমিককে কাজে না লাগানোর জন্য মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশনায় হতাশা তৈরি হয়েছে।

বিজেএমসির খুলনা আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. বনিজ উদ্দিন মিঞা জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের ব্যয় সংকোচনের জন্য বদলি শ্রমিকদের কাজে না লাগানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩০ হাজার স্থায়ী শ্রমিককে দিয়েই আপাতত মিলের কাজ চালানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর