প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৯ শতাংশ ঋণের সুদ ও ৬ শতাংশ আমানতের সুদহার বাস্তবায়ন দেখতে চায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-ডিসিসিআই। এই সিঙ্গেল ডিজিট সুদহার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বা এসএমই খাতেও বাস্তবায়ন চেয়েছে সংগঠনটি। ডিসিসিআই বলেছে, খেলাপি ঋণের কারণে ব্যবসার খরচ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেট চালু এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। শেয়ারবাজার চাঙ্গা করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাই যথেষ্ট। বাজার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবের প্রশংসাও করেছে ডিসিসিআই। গতকাল মতিঝিলের চেম্বার ভবনে দেশের প্রাচীন বাণিজ্য সংগঠন ডিসিসিআই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির নবনির্বাচিত সভাপতি শামস মাহমুদ। এতে উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এন কে এ মবিন, সহসভাপতি মোহাম্মদ বাশিরউদ্দিন, পরিচালক আরমান হক, আশরাফ আহমেদ, দীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, রাশেদুল করিম মুন্না প্রমুখ। এতে ২০২০ সালে ডিসিসিআইর বছরব্যাপী কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এতে গুরুত্ব পায় রপ্তানি বহুমুখীকরণ, মানবসম্পদের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক কূটনীতি, পুঁজিবাজার, জ্বালানি নিরাপত্তা, ভ্যাট-ট্যাক্স, বৈদেশিক বিনিয়োগ, ব্যবসা পরিচালনার সূচকে উন্নয়ন, গবেষণা ও উদ্ভাবন, অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজি ইত্যাদি। ওই সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যাংকগুলো এসএমই ঋণ ও মাইক্রো ক্রেডিট এক করে ফেলেছে। এটা ঠিক নয়, একও নয়। ৯ ও ৬ শতাংশ সুদহার এসএমই খাতেও আগামী ১ এপ্রিল থেকে চালু করা হোক। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুদ্রানীতির পরিবর্তন শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। দেশের ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, অর্থনীতির সামগ্রিক বিবেচনায় চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণখেলাপি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে।
তবে কোনো উদ্যোক্তা যদি সময়মতো গ্যাস, বিদ্যুৎ, অবকাঠামোসহ প্রয়োজনীয় সেবা না পেয়ে থাকেন, তাদেরকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত নয়। খেলাপি ঋণের ফলে ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় বেড়েছে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে কমিয়ে আনতে হবে। শামস মাহমুদ ভ্যাট প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমানে যারা ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের আওতায় পড়ে, তারা ভ্যাটের ওপর অব্যাহতি পেয়ে থাকে। তবে অন্যান্য স্ল্যাবের ওপর যথা : ৫, ৭, ৭ দশমিক ৫ এবং ১০ ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানিয়েছে ডিসিসিআই।