বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

উপজেলায় স্বাভাবিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রোগীরা, ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল স্বাভাবিক রোগীদের চিকিৎসায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চালু করা হয়েছে সর্দি, কাশি ও জ্বরের জন্য ফ্লু কর্নার। আছে ২৪ ঘণ্টার হটলাইন। আছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। কিন্তু বিপরীতে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার বাসিন্দারা স্বাভাবিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো স্বাস্থ্যসেবার প্রধান কেন্দ্র হলেও সেখানে মিলছে না চিকিৎসা। বহির্বিভাগ চালু থাকলেও সেবা নেই। ফলে উপজেলা পর্যায়ের রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ৫০ শয্যার হাসপাতাল আছে। এসব হাসপাতালে সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত  বহির্বিভাগে রোগী দেখা হয়। এ ছাড়া কিছু উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০ ও ৩০ শয্যার কিছু ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। কিন্তু এসব সেবা কেন্দ্রে এখন প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে স্বাভাবিক চিকিৎসা অব্যাহত রাখা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। প্রত্যেক চিকিৎসককে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এরপরও হয়তো চিকিৎসক সংকট আছে। বিষয়টি আমরা অবগত আছি।’

জানা যায়, করোনাভাইরাস প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের দেখা মিলে না। ফলে বিপাকে পড়ছেন স্বাভাবিক রোগীরা। পক্ষান্তরে বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন বিকাল-সন্ধ্যায় প্রাইভেট চেম্বার করতেন। কিন্তু প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া বাকি সবগুলো বন্ধ। কোথাও ল্যাব খোলা থাকলেও চিকিৎসক নেই। গতকাল আনোয়ারা হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় রোগী শূন্য হয়ে পড়ে। জরুরি বিভাগেও যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। করোনা পরিস্থিতিতে এ হাসপাতালে দুই সপ্তাহ ধরে ৩-৪ জন ডাক্তারই চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। বহির্বিভাগে কোনো চিকিৎসক দেখা যায় না। ফলে চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগীকে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এ ছাড়া আনোয়ারার চাতরী, চৌমুহনী বাজার, বন্দর মহালখান বাজার, বটতলী, আনোয়ারা সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ল্যাবগুলো খোলা থাকলেও চিকিৎসক থাকেন না। একাধিক ল্যাবের মালিক বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর থেকে চিকিৎসকরা চেম্বার করছেন না।’ শেভরন আনোয়ারা শাখার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দৈনিক ৫-৬ জন ডাক্তার চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ডাক্তার এবং রোগীদের জন্য নিরাপত্তা সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

অন্যদিকে, সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে স্বাভাবিক জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর