মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলনায় সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তি চরমে

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তি চরমে

খুলনার এমএ বারী লিংক রোডে তৈরি হয়েছে বিশাল গর্ত। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সংস্কারের অভাবে খুলনার অধিকাংশ সড়কই খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কে কার্পেটিং ও ইট উঠে কয়েকটি স্থানে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টির সময় কাদা পানিতে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে প্রায়ই এসব সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। জানা যায়, খুলনা নগরীর ব্যস্ততম সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এম এ বারী লিংক রোড, আবু নাসের হাসপাতাল রোড, মুজগুন্নি সড়ক, রূপসা স্ট্যান্ড-শিপইয়ার্ড সড়ক ও সামছুর রহমান রোডসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক ভেঙেচুরে একাকার হয়ে গেছে। একই সঙ্গে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়িতে ভোগান্তির মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে জয়বাংলার মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কে কার্পেটিং ও ইট উঠে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন অংশে পানি জমে রীতিমতো ডোবায় পরিণত হয়েছে। ভাঙা সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বাসচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে পিচ, ইট-বালি উঠে গর্ত তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি সময় হাঁটুপানিতে এসব গর্তে পড়ে গাড়ির পার্টস-পাতি ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে সড়কের এ বেহাল অবস্থা নিরসনে বড় ধরনের সংস্কার কাজ হাতে নিয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন। সড়ক মেরামত প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে দেড়শ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রায় ৭৮ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং, ১৫১ দশমিক ৯২ কিলোমিটার সড়ক আরসিসি ঢালাই ও ৩৩ কিলোমিটার সড়ক সিসি ঢালাই দেওয়া হবে।

সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক জানান, বৃষ্টির সময় ঢালাই দিলে দুই দিন পর তা পানিতে উঠে যাবে। এ কারণে বৃষ্টি শেষ হলেই বড় ধরনের সংস্কার কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, করোনার মধ্যে তিন মাস কাজ বন্ধ ছিল। এরপর যখন কাজ শুরু হয়েছে, তখনই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে বৃষ্টি শেষ হলে তিন মাসের মধ্যেই সব কাজ শেষ করা যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর