মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
রাজশাহীতে হচ্ছে না বৃক্ষমেলা

কোটি টাকার ক্ষতি, হতাশ নার্সারি মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বৃক্ষমেলা না হওয়ার আশঙ্কায় হতাশ রাজশাহীর নার্সারির মালিকরা। বৃক্ষ মেলায় গাছের চারা বিক্রি করে মোটা দাগে আয় করবেন এমন আশায় ছেদ পড়েছে। করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে এই আশঙ্কায় এবার বৃক্ষমেলা হচ্ছে না। প্রতি বছর ৩০ জুনের মধ্যে সব উপজেলায় মেলার জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এবার সেই বরাদ্দ আসেনি। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও ২৫ লাখ টাকা খরচ করে নিজের নার্সারির কয়েক লাখ গাছের চারা তৈরি করেছেন পুঠিয়া উপজেলার নার্সারির মালিক মফিজুল ইসলাম ডলার। নার্সারিতে বিভিন্ন ফলদ, বনজ, ঔষধি ও ফুলের হাজার হাজার গাছে এখন সবুজের সমারোহ। কিন্তু ডলারের মনে শান্তি নেই! গত বছর বৃক্ষ মেলায় তার গাছের চারা বিক্রি হয় সাড়ে চার লাখ টাকা। কিন্তু এবার কৃষিমেলা না থাকায় তাকে প্রায় ৪ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে। এমন অবস্থা রাজশাহীর প্রায় সব নার্সারি মালিকদের। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, নগরী ও জেলাতে মোট ১৪১টি নার্সারি রয়েছে। বর্ষা মৌসুমেই তাদের মূল ব্যবসা। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও বৃক্ষমেলা না থাকায় রাজশাহীতে নার্সারি খাতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। নগরী ও জেলার কয়েকজন নার্সারি মালিকের সঙ্গে কথা হলে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। নগরী ও জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় আড়াই কোটি টাকার গাছের চারা বিক্রি হয়। এ ছাড়া বৃক্ষ মেলায় নগরীতে বিক্রি হয় কোটি টাকার গাছ। এমন কি একেকটি উপজেলায় মেলায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার গাছ বিক্রি হয়ে থাকে।  নগরীর আমচত্বর এলাকার সোনার বাংলা নার্সারির মালিক রফিক জানান, নার্সারির ব্যবসার মূল সময় বর্ষা মৌসুম। আর তার মাঝে বৃক্ষ মেলাই প্রধান। বৃক্ষ মেলায় ক্রেতাদের চাহিদা মতো সব রকমের গাছ থাকে।

ছোট-বড় সব মানুষ গাছ কেনেন। কিন্তু এবার মেলা নেই। এই করোনার সময় অনেক মানুষ বাসায় গাছ লাগিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। এখন যা বিক্রি হচ্ছে তা আশানুরূপ নয়।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শামসুল হক জানান, সরকার প্রতি বছর বৃক্ষমেলা করে। তবে এবার করোনার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সব উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে ৮০০ থেকে ৯০০ গাছের চারা লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর