মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
প্রশাসনের বিরুদ্ধে ঢিলেমির অভিযোগ

হরিলুট হচ্ছে চার কোটি টাকা মূল্যের সরকারি বালু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

করতোয়া নদী থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উত্তোলন করা প্রায় চার কোটি টাকা মূল্যের বালু লুট করে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। পীরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ দুর্গাপুর গ্রামে করতোয়া নদী থেকে উত্তোলন করা ওই বালু দিনেরাতে ট্রাকে উপজেলা প্রশাসনের বুকের ওপর দিয়ে লুটে নেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে উপজেলা প্রশাসন লোক দেখানো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দায়িত্ব সেরেছে। প্রশাসনের ঢিলেমির কারণে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। রংপুর পাউবো সূত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জের টুকুরিয়া ইউনিয়নে করতোয়া নদীপাড়ের দক্ষিণ দুর্গাপুর ও বিছনা গ্রামে শুকনো মৌসুমে মেসার্স শেখ কন্সট্রাকশন নদী খনন করে প্রায় ৭০ লাখ সিএফটি বালু নদীপাড়ে স্তূপ দেয়। ওই বালু টেন্ডারে বিক্রির প্রস্তুতি চলছে। এদিকে এই বালু অবৈধভাবে আত্মসাৎ করতে প্রভাবশালী কয়েক আওয়ামী লীগ নেতা উঠে পড়ে লেগেছেন। বালু লুপাটে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মণ্ডল বাধা দিলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই আবদুল মান্নানসহ উভয়পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে পড়লে ৮ এপ্রিল তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বালু উত্তোলন ও পরিবহন না করতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। যা এখনো বহাল রয়েছে। এদিকে পাউবো কর্তৃপক্ষ ওই বালু টেন্ডারে বিক্রির জন্য রংপুরের জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছে। এদিকে, প্রভাবশালীরা সপ্তাহখানেক ধরে দিনেরাতে ট্রাক, মাহেন্দ্রযোগে বালু লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান স্থানীয় প্রশাসনকে জানালে  দায়সারা গোছের অভিযান চালায়। পাউবোর এক কর্মকর্তা বলেন, নদী খননে ৭০ লাখ সিএফটি বৈধ বালু হয়েছে। প্রতি সিএফটি ৬ টাকা দরে টেন্ডার দাখিল করলে প্রায় ৪ কোটি টাকা হবে। ওই টাকা পুরোটাই সরকার পাবে। কিন্তু বালুগুলো হরিলুট হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাউল হোসেন বলেন, বালু রক্ষায় দুবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদি হাসান জানান, একাধিকবার জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতা চেয়েছি। কিন্তু কাজের কিছুই হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর