বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বড় নদীগর্ভের চর-ডুবোচর অপসারণ করতে হবে

একনেকে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

যমুনা নদীসহ বড় নদীগর্ভের ডুবোচর ও চর খনন করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নদীর প্রবাহ যেন ঠিক থাকে। প্রবাহ ঠিক না থাকলে নদীর পাড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হবে। বড় নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের পাশাপাশি সারা বছর মেইনটেনেন্স ড্রেজিং চালু করতে হবে। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। সভায় চারটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম। যতগুলো ড্রেজিং প্রকল্প আছে সবগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ৫৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘যমুনা নদীর ডানতীর ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাধীন সিংড়াবাড়ী, পাটাগ্রাম ও বাঐখোলা এলাকা সংরক্ষণ’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে এই সিনিয়র সচিব বলেন, স্ট্যাডির মাধ্যমে নদী খনন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। নদী নিয়মিত খনন না করলেই ভাঙনের সৃষ্টি হয়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে আসাদুল ইসলাম বলেন, আসছে শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে। এ জন্য মাস্ক পরাসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। যাতে দেশে করোনার বিস্তার না ঘটে। চার প্রকল্প অনুমোদন : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী (একনেক) কমিটির সভায় ২ হাজার ৪৫৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা খরচের চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে সরকার দেবে ১ হাজার ৬৬৯ কোটি ৩১ লাখ, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৮২ কোটি ১৪ লাখ এবং বিদেশি ঋণ ৬০৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তারা জানান, একনেক সভায় দুটি নতুন এবং দুটি প্রকল্পের সংশোধন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

 অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘যমুনা নদীর ডানতীর ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাধীন সিংড়াবাড়ী, পাটাগ্রাম ও বাঐখোলা এলাকা সংরক্ষণ’ প্রকল্প। এতে খরচ হবে ৫৬০ কোটি ৭ লাখ টাকা। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

মৎস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘কক্সবাজার জেলায় শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন’ প্রকল্পটি ১৯৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা খরচে বাস্তবায়ন করা হবে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘পাঁচদোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল জেলা মহাসড়কে একস্তর নিচু দিয়ে উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণ (ডাঙ্গাবাজার-ইসলামপুর লিংকসহ)’ প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশোধনীতে খরচ বেড়েছে ৫৫১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল, তা এখন বাড়িয়ে করা হলো ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। বিদ্যুৎ বিভাগের ‘আমিনবাজার-মাওয়া-মোংলা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২ হাজার ৫০৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। প্রকল্পটির সময় বেড়েছে দেড় বছর।

সর্বশেষ খবর