মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা

শ্রদ্ধা ভালোবাসায় পালিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

শহীদদের প্রতি ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রতিদিন ডেস্ক

শ্রদ্ধা ভালোবাসায় পালিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব গতকাল মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পু®পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিন বাহিনী প্রধান সালাম প্রদান করেন -আইএসপিআর

দেশের সব বিভাগে গতকাল যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসের কর্মসূচিতে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে কালো পতাকা উত্তোলন, শহীদ মিনার ও বুদ্ধিজীবীদের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদকদের পাঠানো বিবরণ- খুলনা : খুলনায় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। সকালে নগরীর গল্লামারী বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে খুলনা  মহানগরী ও জেলা আওয়ামী লীগ, খুলনা সিটি করপোরেশন, মহানগরী ও জেলা বিএনপি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষক লীগ, বিএমএ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী। বরিশাল : বরিশালে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিএনপি দিবসটি উপলক্ষে পৃথক আলোচনা সভার আয়োজন করে। চট্টগ্রাম : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। সিলেট : সিলেটে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। এ ছাড়া রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগেও অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এদিকে মোমবাতি প্রজ্বলন ও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের মধ্য দিয়ে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তনের শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সংগঠনটি। এর আগে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ। এ সময়  আরও উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক  মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ। সভায় এ কে আজাদ বলেন, দেশের বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য, রাজাকার-আল বদররা যে নীল নকশা করেছিল, তার একটাই উদ্দেশ্য ছিল- জাতিকে  মেধাশূন্য করা। সেই লক্ষ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু ছাত্র ও শিক্ষককে ১৪ ডিসেম্বর রাতে হত্যা করা হয়। ২৫ মার্চ থেকে শুরু করে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা নির্বিচারে নারী-পুরুষদের হত্যা করেছে। তারা কিন্তু আজও সক্রিয়। কয়েকদিন আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে এবং ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাই দেশের সব বুদ্ধিজীবীদের এ বিষয়ে সজাগ থেকে এর প্রতিবাদ করতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের পরিবারের সদস্যরা কী অবস্থায় আছেন- তা জানা গেলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এমিরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর প্রস্তাবনার ভিত্তিতে ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর