বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

‘ঝাঁকুনি’ দিয়ে বিদায় নিলেন চসিক প্রশাসক

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) খোরশেদ আলম সুজন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ১৮০ দিন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি হাত দিয়েছেন নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে। তদন্ত কমিটি করেছেন অন্তত সাতটি প্রকল্পের অনিয়মের। বদলি করেছেন সাত বিভাগের তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। ক্যারাভেন কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল ওয়ার্ডের সমস্যা-সংকট তাৎক্ষণিক সমাধানের উদ্যোগও নেন। ফলে তিনি চসিকের অভ্যন্তর ও নগরে একটা ঝাঁকুনি দিতে সক্ষম হয়েছেন। জানা যায়, গত বছরের ৬ আগস্ট চসিক প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন খোরশেদ আলম সুজন। গত সোমবার তাঁর মেয়াদ শেষ হলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোজাম্মেল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত সোমবার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়। এতে বলা হয়, ‘গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  

নির্বাচিত পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক অত্যাবশ্যকীয় ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন।’ বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘১৮০টি দিনের প্রতিটি মুহূর্তকে আমি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। জানি না কতটুকু সফল হয়েছি। সফলতার ভার নগরবাসীর ওপর, ব্যর্থতার ভার নিজের ওপর রাখলাম। তবে কিছু কঠিন কাজে হাত দিয়ে অনেকের বিরাগভাজন হয়েছি। কিন্তু যা করেছি নগরবাসীর স্বার্থেই। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক কাজ সম্পন্ন করতে পারিনি।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দায়িত্ব গ্রহণ করেই সুজন নানা অভিযোগের ভিত্তিতে শপিং কমপ্লেক্স উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, বিপ্লব উদ্যান সৌন্দর্যবর্ধন, শাহ আমানত শপিং কমপ্লেক্স বর্ধিতকরণ, চসিকে ব্যবহৃত যানবাহনে তেল নিয়ে অনিয়ম, বর্জ্য থেকে লাকড়ি তৈরি প্রকল্পে অনিয়ম এবং আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নগরের ৪২টি সড়ক-ফুটপাথ-গোলচত্বর ও আইল্যান্ডে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গঠিত তদন্ত কমিটি অনিয়মের প্রতিবেদনও দেয়। তবে এ নিয়ে অভিযুক্ত কারও বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, চসিকের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা আনতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাজস্ব, ভূ-সম্পত্তি, প্রকৌশল, সচিবালয়, ওয়ার্ডের সচিব, পরিচ্ছন্ন বিভিন্ন বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে একই পদে চাকরি করছেন এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করে দেন। এ নিয়ে চসিকের অভ্যন্তরে অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বদলি আতঙ্ক তৈরি হয়। তাছাড়া সাড়া ফেলেছিল তৃণমূলের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ক্যারাভেন কর্মসূচি। কর্মসূচিতে তাৎক্ষণিক নাগরিক দুর্ভোগ-ভোগান্তি নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর