বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

সপ্তাহে চার দিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা বন্ধ, দুর্ভোগ

খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

চিকিৎসক সংকটের অজুহাতে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের বহির্বিভাগে সপ্তাহে চার দিন চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। এ ছাড়া বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় দালাল চক্র সহজে রোগী ভাগিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে নিয়ে যাচ্ছে। জানা যায়, বর্তমানে বিশেষায়িত হাসপাতালটিতে ব্রেন স্ট্রোক বা জটিল কিডনি চিকিৎসায় নেফ্রলজি বিভাগে ২৫টি শয্যা ও নিউরোলজিতে আরও ২৫টি শয্যায় রোগী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। অতিরিক্ত চাপের কারণে এখানে ভর্তির সিরিয়াল পাওয়াই কঠিন। ফলে সাধারণ মানুষকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। কিছুদিন আগেও নেফ্রলজি বিভাগে সপ্তাহে ছয় দিন বহির্বিভাগে রোগী দেখা হতো, বর্তমানে সেখানে রবি, সোম, বুধ, শুক্রবার বন্ধ রাখা হয়েছে। একইভাবে নিউরোলজি বিভাগে শনি, রবি, বুধ ও শুক্রবার বহির্বিভাগ বন্ধ থাকে। এই দুই বিভাগের মোট তিনটি কক্ষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থেকে আসা কিডনি রোগী খলিলুর রহমান জানান, ‘হঠাৎ করে আউটডোর চার দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে অনেকে ভোগান্তিতে পড়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। অনেকে দালালের খপ্পরে পড়ে বেসরকারি ক্লিনিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে সর্বস্ব হারাচ্ছে।’ স্কুল শিক্ষক মশিউর রহমান জানান, এখানে রোগী ভর্তি করতে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। এতদিন বহির্বিভাগে অল্প টাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর সুযোগ ছিল, এখন তাও সীমিত হয়ে গেছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মোহা. রেজা সেকেন্দার জানান, হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। নেফ্রলজি বিভাগ সপ্তাহে দুই দিন ক্যাথেটর করে, এক দিন কিডনি বায়োপসি ও বাকি তিন দিন আউটডোর করে। তিনি বলেন, চিকিৎসক সংকটে ইনডোরে বেশি সমস্যা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে আউটডোর সামলে আবার ইনডোরে ভর্তি রোগী দেখতে হচ্ছে।

যদি হাসপাতালে পর্যাপ্ত মেডিকেল অফিসার থাকত, তাহলে আউটডোরে অতিরিক্ত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হতো।

সর্বশেষ খবর