বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে ঢাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আল-আমিনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকাল ৩টায় তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আল আমিনের প্রেমিকা ও কথিত স্ত্রী এবং তার পরিবারকে দায়ী করে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন মৃতের স্বজনরা। যদিও এ ঘটনায় নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন প্রেমিকার পরিবার। পুরো ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। মৃত আল-আমিন রাজধানীর বাংলামোটরের প্রিন্স করপোরেশনে জুনিয়র অফিসার বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলা সদরের পরমানন্দসাহা এলাকার মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে। আল আমিনের বোন লাকি আক্তার দাবি করেন, প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে এক মাস আগে বরিশালের সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে তার ভাইয়ের বিয়ে হয়। মীমের বাসা নগরীর নিউ সার্কুলার রোডে। তবে বিয়ে মেনে নেয়নি ছাত্রীর পরিবার। শুক্রবার ঢাকা থেকে এসে নগরীর নথুল্লাবাদের হোটেল শরীফে ওঠেন আল আমিন। গতকাল বিকালে পুলিশ খবর পেয়ে ওই হোটেল থেকে আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে। তার গলায় দাগ রয়েছে। এই ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড দাবি করে এর তদন্তপূর্বক বিচার চেয়েছেন মৃতের স্বজনরা। এদিকে ছাত্রীর বাবার দাবি তার মেয়ের সঙ্গে ওই ছেলের বিয়ে হয়নি। প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে তার মেয়েকে গতকাল সকালে ওই হোটেলে ডেকে নেয় আল আমিন। সেখানে গিয়ে হোটেল কক্ষে আল আমিনের লাশ দেখতে পান তার মেয়ে।
নগরীর বিমান বন্দর থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, আল আমিনের গলায় দাগ রয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিশ্চিত নয়। এ কারণে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মীমসহ তাদের পরিবারের কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।