শুক্রবার, ২১ মে, ২০২১ ০০:০০ টা
টুকরো খবর

আমলা পুলিশ র‌্যাব নিয়ে টিকে আছে সরকার : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমলা, পুলিশ, র‌্যাব এই ধরনের সম্প্রদায়কে নিয়ে বর্তমান সরকারকে টিকে থাকতে হচ্ছে। এটা একদিকে যেমন লজ্জার ও ধিক্কারজনক, অন্যদিকে তেমনি ভীতিরও। আজকে ফ্যাসিবাদী ভীতি ছড়িয়ে সমস্ত দেশকে একেবারে একটা অন্ধকারের মধ্যে ফেলে দিয়েছে তারা। সেই ফ্যাসিবাদকে আমাদের পরাজিত করতে হবে- সেটাই একমাত্র মুক্তির পথ। কেন্দ্রীয় বিএনপির ‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্র, শৃঙ্খলিত গণমাধ্যম, মুক্তির পথ কি?’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলামের কারিগরি তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, কামাল উদ্দিন সবুজ প্রমুখ।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাবেক সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠক অ্যাডভোকেট এলিনা খান ও আহাদুজ্জামান আসাদ।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানির রায় বিলম্বের ঘটনা তাদের ‘ওল্ড প্র্যাকটিস’। আর এটাই হলো- রাষ্ট্রের বর্তমান চরিত্র। তিনি বলেন, আজকে রোজিনা ইসলামের জামিনের শুনানি হয়েছে। রায় দেবে রবিবার।  এটা হলো সেইম ওল্ড প্র্যাকটিস। আমাদের সঙ্গে সব সময়ই এই ওল্ড প্র্যাকটিসটা করা হয়। কিন্তু আমরা যারা রাজনীতি করি তারা মেনেই নিয়েছি যে, এটাই বুঝি আমাদের প্রাপ্য। এটাই হলো বর্তমান রাষ্ট্রের চরিত্র। 

মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের, আজকে আওয়ামী লীগের মতো একটি দল যারা একসময় জনগণের ভিত্তি ছিল, তারা জনগণের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে, তাদের কাছেই এখন দেশের জনগণ কেউ নিরাপদ নয়। তারা জনগণের পাশেও  নেই। তাদের এখন কাজী জেবুন্নেসার মতো আমলা, পুলিশ আর র‌্যাব এই তিন সম্প্রদায়ের সহায়তায় এই সরকারকে টিকে থাকতে হচ্ছে। 

মির্জা ফখরুল বলেন, রোজিনা ইসলামের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন নেমে এসেছে। সংবাদপত্র, গণমাধ্যমের ওপর নির্যাতন নেমে এসেছে। সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সাংবাদিকদের দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি হত্যা ও গুম পর্যন্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর