কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও এফবিসিসিআইর পরিচালক মাসুদ পারভেজ খান ইমরান বলেছেন, শিল্পের দিক থেকে কুমিল্লাকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নতুন নতুন শিল্প সৃষ্টি করতে হবে, শিল্প উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। আগামী বাজেটে কুমিল্লায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিল্প-কারখানা স্থাপনের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। এখানে মহাসড়কের পাশে শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার অনেক সুযোগ রয়েছে। এখানে উৎপাদিত পণ্য সহজে রপ্তানিও করা যাবে। এদিকে দেশের উল্লেখযোগ্য আঞ্চলিক মহাসড়ক কুমিল্লা-নোয়াখালী। সেটির কাজের গতি বাড়াতে হবে। যোগাযোগে গতি এলে ব্যবসায়ও গতি আসবে।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, কুমিল্লায় বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। বাড়াতে হবে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ। কুমিল্লা বিমানবন্দর চার দশক ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। বিমানবন্দর চালু হলে কুমিল্লায় আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আসত। বিমানবন্দর সংলগ্ন ইপিজেডে বিনিয়োগ বাড়াতে বিমান চলাচল এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, কুমিল্লা ইপিজেডে বিনিয়োগ বাড়লে কর্মসংস্থান হতো বিপুল সংখ্যক মানুষের। কুমিল্লার অর্থনীতিতে যোগ হতো নতুন মাত্রা। কুমিল্লার বিবির বাজার সম্ভাবনাময় স্থলবন্দর। এ বন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরাসহ সাতটি রাজ্যে কুমিল্লার ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আমদানি পণ্য উন্মুক্তসহ বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন। ভারতের ত্রিপুরার সঙ্গে কুমিল্লার ব্যবসা-বাণিজ্য হতো নৌপথে। সীমান্ত আইনের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। আবারও আলোচনা উঠেছে গোমতী নদী দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত নৌবাণিজ্যের বিষয়। নদীটি খনন হলে ব্যবসার দ্বার খুলবে। কুমিল্লার কৃষিতে সাফল্য আসবে, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।
তিনি বলেন, কুমিল্লার মৃৎ শিল্পের সুনাম দেশ জোড়া। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু পণ্য বিদেশেও যাচ্ছে। এ খাতে নজর দেওয়া হলে মৃৎ শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কুমিল্লার খাদির পোশাক ও রসমালাইয়ের সুখ্যাতি দেশজুড়ে। সেই খাদি ও রসমালাই এবার বাঙালি ও বাংলাদেশির সঙ্গে বিদেশিদেরও মন জয় করতে চায়। এ জন্য প্রয়োজন বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনের সহযোগিতা। এখানে নজর দেওয়া প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে ৯০ ভাগ ব্যবসায়ী ভালো নেই। বাজেটে ব্যাংকের সুদ মওকুফ ও অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি করতে না পারলে ব্যবসায়ীরা বেকায়দায় পড়বেন। এবারের বাজেটে যেন সব স্তরের ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর থাকে।