বুধবার, ২৬ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনারগোস্পেট মন্তাজ কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করায় প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক সজীব খানকে পুলিশে দিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। সজীব খান নরসিংদী জেলার ভোলাহাট এলাকার মৃত জুনায়েদ খানের ছেলে। গতকাল  তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। সজীব খানের বিরুদ্ধে প্রতারিত ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করেছেন রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম। তিনি জানান, রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেএসসি এনারগোস্পেট মন্তাজের কর্মকর্তা সজীব খান চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাই তাকে আটক করা হয়েছে। ঈশ্বরদী পৌরসভার ফতে মোহাম্মদপুর এলাকার সৌরভ কুমার সরকার জানান, প্রতারক সজীব আমাকে এবং অন্য কয়েকজনকে তিন বছর মেয়াদে চাকরি দেয়। তার কথামতো আমি পাবনার মহিদুল ইসলাম, দিয়ার শাহাপুর গ্রামের মামদুর রহমান, মির্জাপুর গ্রামের মো. রঞ্জুরকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেন। এ ধরনের আরও অনেককে চাকরি দেন তিনি। কিন্তু যোগদানের কিছুদিন পরই আমাদের কোম্পানি থেকে বের করে দেওয়া হয়।

তখন, রাশিয়ান প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরতদের মাধ্যমে জানতে পারি এ প্রতিষ্ঠান কাউকে সময়ভিত্তিক নিয়োগ দেয় না। সজীব আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে এনারগোস্পেট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে তারা সত্যতা পান এবং তাকে বরখাস্ত করে মঙ্গলবার প্রকল্পের নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করেন। আমরা থানায় সজীবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।

পুলিশ জানায়, এ কর্মকর্তার কাছে প্রতারিত হয়ে কয়েকজন চাকরিপ্রত্যাশী বেকার যুবক রাশিয়ান কোম্পানি এনারগোস্পেট মন্তাজ ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাসদস্যদের কাছে অভিযোগ করেন। তদন্ত করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পান তারা। পরে তাকে প্রকল্প এলাকা থেকে আটক করে রূপপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হয়। আটক সজীবের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম।

এ প্রকল্পে এনারগোস্পেট মন্তাজের মতো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নিকিমথ, টেস্ট রোসেম, অর্গানোগোস্তরায়, রোইনওয়ল্ড, রোডারসহ অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার অধিকাংশ বাঙালি কর্মকর্তা, দোভাষীরা এ ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।

সর্বশেষ খবর