শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

হাবিব ও শফির মধ্যে বাগ্‌যুদ্ধ শুরু

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

হাবিব ও শফির মধ্যে  বাগ্‌যুদ্ধ শুরু

সবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। ২৮ জুলাই হবে ভোট গ্রহণ। প্রতীক পেয়ে ভোটযুদ্ধে নামার আগেই বাগ্‌যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ও স্বতন্ত্র বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শফি আহমেদ চৌধুরী। নিজেদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করেছেন। বিএনপি উপনির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক এমপি শফি আহমেদ চৌধুরী। দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে মঙ্গলবার তাকে শোকজ করা হয়েছে। দফতর সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত ওই শোকজের চিঠিও হাতে পৌঁছেছে শফি চৌধুরীর। তিন দিনের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতেও বলা হয়েছে। দলীয় এমন কঠোর বার্তায় বিচলিত তিনি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, দল তার কাছে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণ জানতে চেয়েছে। তিনিও জবাব দিয়েছেন। তিনি আশাবাদী তার জবাবে দল সন্তুষ্ট হবে। শফি আহমেদ চৌধুরী বলেন, সিলেট-৩ আসন বিএনপির ঘাঁটি। এ আসনে দুবার এমপি ছিলেন তিনি। ওই সময় তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। দলের নেতা-কর্মীরা চান তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হন। এলাকার লোকজনও তাকে ফোন দিয়ে ‘প্রেসার’ দিচ্ছেন। এবার আশা করা হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। তাই নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির এ ঘাঁটি ধ্বংস হয়ে যাবে বলে দাবি করেন শফি চৌধুরী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে দলের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে বলে দাবি করেছেন শফি আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীরা আশা করেছিলেন মানবিক দিক বিবেচনায় মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর স্ত্রীকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তার প্রতি সহানুভূতি না দেখানোর কারণে দলের নেতা-কর্মীরা খুবই ক্ষুব্ধ। এ ছাড়া দলের সিনিয়র নেতারা মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় দলটির নেতা-কর্মীরা অসন্তুষ্ট।

তারাও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। জামায়াতও আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহ দিচ্ছে। সব মিলিয়ে দলীয় নেতা-কর্মী ও এলাকার মানুষের সমর্থন উপেক্ষা করতে না পেরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছুটে এসে প্রার্থী হতে হয়েছে।’ শফি চৌধুরী জানান, ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। ওই সময়ও তার বিরুদ্ধে দল কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে ছোট ভাইয়ের মতো ¯ন্ডেœহ করতেন বলেও দাবি করেন শফি চৌধুরী।

এদিকে, প্রার্থী বাছাই নিয়ে আওয়ামী লীগে অসন্তোষ ও দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ তার সঙ্গে নেই- এমন মন্তব্যে শফি চৌধুরীর ওপর খেপেছেন হাবিবুর রহমান হাবিব। গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে হাবিব জানান, নির্বাচনী এলাকার তিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী নৌকা প্রতীকের পক্ষে রয়েছেন। অন্য যারা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তারাও তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। সবাইকে নিয়ে তিনি নির্বাচন করবেন। নৌকা প্রতীকের বাইরে কোনো নেতা-কর্মী নেই দাবি করে হাবিব বলেন, শফি চৌধুরী বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘শফি চৌধুরী বয়স্ক মানুষ। কোন সময় কী বলেন, কী করেন তার ঠিক নেই। তার কর্মীদেরই বলতে শুনেছি- বয়সের কারণে তিনি প্যান্টে প্রস্রাব-পায়খানা পর্যন্ত করে দেন। সুতরাং তার কথায় কান দিয়ে লাভ নেই।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর