একটি জটিল রোগ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’। সেটি ধরা পড়েছে ৬ দিন আগে চট্টগ্রামে। বর্তমানে বিশেষজ্ঞ একজন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোগীর চিকিৎসাও চলছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই রোগীর জন্য দুর্লভ ‘অ্যামফোটেরিসিন-বি’ একটি ইনজেকশনটিও খুঁেজ পাওয়া কঠিন। তবে এরই মধ্যে চেষ্টা করে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে’ আক্রান্ত রোগীর সেই দুর্লভ ইনজেকশনটি পাওয়া গেছে মাত্র ২২ ডোজ। যা আগামী চার দিন চলবে। গতকাল দুপুর থেকে চিকিৎসা শুরু করেছেন চিকিৎসকরাও। রোগীর ছেলে মো. বেলাল হোসাইন বলেন, অনেক কষ্ট করে মাত্র ২২ ডোজ ম্যানেজ করেছি। এটার দামও অনেক। আরও ৫৩ ডোজ লাগবে। সব জায়গায় খোঁজ নিচ্ছি। আল্লাহ সহায় থাকলে হয়তো বাকি ডোজগুলোও ব্যবস্থা করতে পারবো। তবে চিকিৎসকরা সবাই আন্তরিক। চেষ্টা করছেন আমার মাকে সুস্থ করে তোলার জন্য। তাছাড়া বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ যতটুকু ছড়িয়েছে তা যাতে আর না ছড়ায় সে চেষ্টা চলছে। অ্যামফোটেরিসিন-বি ইনজেকশনটি প্রতিদিন ৫ ডোজ করে ১৫ দিন পর্যন্ত দিতে হবে। আপাতত সামান্য ইনেজেকশন যোগাড় হয়েছে। এসব দিয়ে আগামী ৪ দিন চলবে। তবে এই রোগীর চিকিৎসার জন্য একটি বোর্ড গঠন হয়েছে। প্রতিদিন রোগীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই শরীরে করোনা পরবর্তী বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন এই নারী। পরে চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা করে রোগীর শরীরে মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রয়েছে বলে নিশ্চিত হন।