ফোনালাপে আড়ি পাতা বন্ধের নিশ্চয়তা ও ফাঁস হওয়া ঘটনাগুলোর তদন্ত চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে ১০ আগস্ট রিটটি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এতে বিবাদী করা হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সচিব ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে। এর আগে ২২ জুন এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কোনো জবাব না পাওয়ায় রিট করা হয়। আড়ি পাতার ঘটনা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে বহুল প্রচারিত এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অথচ সর্বজনীন মানবাধিকার সনদপত্র, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী পৃথিবীর সব আধুনিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার স্বীকৃত ও সংরক্ষিত।
এমনকি বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ অধিকার সংবিধানের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট বিচারপতি মো. শওকত হোসাইন, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মবিনের বৃহত্তর হাই কোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে একটি রায় দেয়। ওই রায়ে বলা হয়- টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ও টেলিফোন সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর দায়িত্ব সর্বাধিক। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ তাদের দায়িত্ব। তারা আইনের বিধান ব্যতিরেকে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে পারে না। রিটকারী ১০ আইনজীবী হলেন মুস্তাফিজুর রহমান, রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বণিক, শাহ নাবিলা কাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), ইমরুল কায়েস ও একরামুল কবির।