রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

পাহাড়ে দুর্গোৎসবের আমেজ

রাঙামাটি প্রতিনিধি

পাহাড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় দুর্গোৎসবের আমেজ বইছে। মন্ডপে মন্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। ব্যস্ত সময় কাটছে মৃৎ শিল্পীদের। রং তুলির আঁচড়ে আকর্ষণীয় করা হচ্ছে প্রতিমাকে। হরেক রঙের আলোক বাতিতে সাজানো হয়েছে গোটা এলাকা। রাঙামাটিতে শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ও এ  দুর্গোৎসব পালন করে থাকে। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষ তিথিকে বলা হয় ‘দেবীপক্ষ’। কৈলাসের শ্বশুরালয় ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে মহালয়ার দিন পৃথিবীতে আসেন দেবী দুর্গা। পরবর্তী পূর্ণিমায় কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার মধ্য দিয়ে শেষ হবে দেবীপক্ষ। এবার দেবি দুর্গার আগম হয়েছে ঘটে করে। আর বিদায় নেবেন দোলায় ছড়ে। রাঙামাটি পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার পূজা উপলক্ষে শহরসহ জেলায় ৪১ পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

 সার্বজনীন উৎসবের অংশে আগামী ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। এরপর ১২ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১৩ অক্টোবর মহাঅষ্টমী, কুমারী ও সন্ধিপূজা, ১৪ অক্টোবর মহানবমী ও ১৫ অক্টোবর বিজয় দশমী পালিত হবে। এ দিন বিজয়া শোভাযাত্রা ও কাপ্তাই লেকে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সার্বজনীন কর্মসূচির অংশে শেষ হবে বর্ণিল শারদীয় দুর্গোৎসব।

শহরসহ জেলার প্রতিটি ম পে পূজা শান্তি-শৃঙ্খলাপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার নিদের্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে সবাইকে পূজা উৎসব পালন করতে হবে। কোনোভাবে স্বাস্থ্যবিধি আইন ভঙ্গ করা যাবে না। তিনি সবাইকে মাস্ক নিশ্চিত করার জন্য পূজা কমিটির নেতাদের আহ্বান জানান।

রাঙামাটি পূজা উদযাপন কমিটির সহসভাপতি ত্রিদীব কান্তি দাস জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রতিটি পূজামন্ডব সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ ছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ডপে মন্ডপে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবার রাঙামাটি সদরে ১৫, কাপ্তাইয়ে সাত, রাজস্থলীতে তিন, কাউখালীতে চার, নানিয়ারচরে দুই, জুরাছড়িতে এক, বিলাইছড়িতে এক, বাঘাইছড়িতে চার, লংগদুতে দুই এবং বরকলে দুটি ম পে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর