শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চিঠি হ প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা চট্টগ্রামে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় নতুন করে আবারও প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশর্বর্তী দেশ ভারতে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গঠিত ওয়ার্ড কমিটিকে অধিকতর সক্রিয় করতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নিয়ে গতকাল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় নিয়ে একটি মিটিং হয়। বৈঠকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি, আসন্ন শীত মৌসুমে ঠান্ডা, কাশি ও শ্বাসজনিত রোগের প্রবণতা বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হয়। কিন্তু এমন অবস্থায় দেশের সর্বত্র মাস্ক ব্যবহারে শিথিলতা দেখা দিয়েছে। ফলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইতিমধ্যে গঠিত সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটিগুলোকে অধিকতর সক্রিয় হতে এবং সঙ্গে সাতটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনার মধ্যে আছে- সর্বস্তরে স্বাস্থ্যবিধি পালন ও মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ, হাট-বাজার, চায়ের দোকান বা জনসমাগম হয় এমন স্থানে ভিড় পরিহারের ব্যবস্থা, ভ্যাকসিন গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, বয়স্কদের ভ্যাকসিন সেন্টারে আসতে সহায়তা করা, স্বাস্থ্যবিধি পালনে প্রচারের ব্যবস্থা করা, সমাবেশ ও সামাজিক অনুষ্ঠান পরিহারে উদ্বুদ্ধ করা এবং করোনা প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, করোনা নিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেগুলো তখন সক্রিয়ভাবে কাজও করেছিল। মাঝখানে সংক্রমণ কমার পর কমিটিগুলো অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এখন আগামী তৃতীয় ঢেউয়ের বিষয়টি সামনে রেখে কমিটিগুলোকে অধিকতর সক্রিয় করা হবে। এ ব্যাপারে কাউন্সিলরদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে সাতজন। নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১ হাজার ৪৮৭টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় কেউ মারা যায়নি। গত বুধবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হয় ১ লাখ ২ হাজার ২৪৫ জন। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৭৩ হাজার ৯৮২ জন এবং উপজেলায় ২৮ হাজার ২৬৩ জন। ইতিমধ্যে মারা যান ১ হাজার ৩২৫ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৭২৩ জন ও উপজেলায় ৬০২ জন। চট্টগ্রামে সরকারি বেসরকারি ১২টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর