জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সংসদ প্রসঙ্গে বলেছেন, দেশে দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রয়োজন। উচ্চকক্ষ করার উদ্দেশ্য হলো-তা যেন সমাজের সব স্তরের মানুষ প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। আমার প্রস্তাব হচ্ছে-উচ্চকক্ষ হবে অর্ধেক দলীয় ও অর্ধেক নির্দলীয় এবং সখ্যানুপাতিক হারে। নিম্নকক্ষ জনস্বার্থবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে উচ্চকক্ষ তার ওপর নজরদারি রাখতে পারবে। গতকাল দুপুরে আরডিআরএস হলরুমে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন আয়োজিত ‘জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আবু সাঈদসহ ছাত্ররা প্রাণ দিয়েছিলেন দেশের মৌলিক সংস্কারের জন্য। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে স্বৈরাচারী ব্যবস্থায় দেশ ফিরে আসার আশঙ্কা থেকে যায়। সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলেও শাসক আবারও দানবে পরিণত হতে পারে। এজন্য সংস্কার প্রয়োজন। আমরা আশা করছি, আবু সাঈদের শহীদ দিবসে সংবিধান সংস্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান সরকার অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে কিছু সংস্কার কাজ শুরু করতে পারবে। কিন্তু কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সম্মতি লাগবে। তা আমরা জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত করেছি। জাতীয় সনদের বিষয় নিয়ে আপনাদের সবাইকে সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে। মহানগর সুজনের সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলিপ সরকার, আইনজীবী জোবাইদুল ইসলাম, মাহে আলম, সমাজকর্মী মঞ্জুশ্রী সাহা প্রমুখ।