বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে গণসচেতনতা জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার সমগ্র মানব জাতিকে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলেছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি। এ জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন, অনুমোদিত ব্যক্তির প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিমাইক্রোবাইয়াল পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ এবং ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। গতকাল বিকালে কালের কণ্ঠ মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, কালের কণ্ঠ, ইউএসএআইডি এবং সিডিসি যৌথভাবে ওই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। ‘অ্যান্টিমাইক্রোবাইয়াল রেজিস্ট্যান্স সমস্যা : প্রতিকার ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী। আলোচনায় অংশ নেন ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক এম এ ফয়েজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বারদান জাং রানা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফোকাল ফর এএমআর মোহাম্মদ রামজি ইসমাইল,  খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কান্ট্রি প্রোগ্রাম লিড ইরিক ব্রাম, বাংলাদেশ ফার্মাকোলজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি ডা. মো. সায়েদুর রহমান প্রমুখ।

 বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এম এ মবিন খান, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নীতিশ দেবনাথ, আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেন হাবীব, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. নাথুরাম সরকার, ইউএসএআইডির গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট ডা. মো. আবুল কালাম এবং সিডিসির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. অনিন্দ্য রহমান। বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ। স্বাগত বক্তৃতা করেন এমটেপস ইউএসএআইডির কান্ট্রি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ডা. জেবুননেছা রহমান।

মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বৈশ্বিকভাবে মহামারী আবার বাড়তে শুরু করেছে। জনসচেতনতার জন্য গণমাধ্যমগুলোর এ মুহূর্তে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বিষয়ে কাজ করা জরুরি। আদালতের রায় অনুযায়ী, প্রেসক্রিপশন ছাড়া কেউ অ্যান্টিবায়োটিক ক্রয় করতে পারবেন না। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক মানুষ রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে যায় না। সেখানকার ৮৫ শতাংশ মানুষ রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের কাছে যায় না। ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রেতাদের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেয়। ফলে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কয়েকটি মন্ত্রণালয়কে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর