পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদসহ সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বি এম ফরমান আলী ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ যখন অপ্রতিরোধ্য গতিতে মহামারী জয় করে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার উৎকর্ষে উন্নয়নের পথে ধাবমান, ঠিক তখনই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে একদল লবিস্টের ইশারায় হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত অযাচিত ও অনাকাক্সিক্ষত। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে- হাজারো চড়াই-উতরাই পেরিয়ে স্বল্পোন্নত থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আর এ অর্জন এক দিনে সম্ভব হয়নি। নিরাপদ বিনিয়োগের নিশ্চয়তা, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর সাধারণের আস্থা ও অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের দৃঢ় প্রত্যয়ের কারণেই এ সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করা সহজতর হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ পুলিশের অভিভাবক ড. বেনজীর আহমেদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জনসাধারণের নিরাপত্তাবিধান, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল ও মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সংগঠনের বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে- ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ এ নীতি অনুযায়ী অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও রয়েছে বাংলাদেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের অপতৎপরতা প্রতিরোধ ও নবসৃষ্ট বিভিন্ন সাইবার অপতৎপরতা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র দফতর কর্তৃক বাংলাদেশ পুলিশের অভিভাবকসহ সাতজন কর্মকর্তার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ পুলিশের সব সদস্য উদ্বিগ্ন।
আইজিপি দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পুলিশের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশকে আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, দুর্নীতিমুক্ত, মানবিক ও জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ড. বেনজীর আহমেদ পুলিশ সদস্যদের সব ধরনের অপেশাদার আচরণ রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছেন। করোনাকালে বর্তমান আইজিপির নেতৃত্বে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে নির্ভীক পুলিশ সদস্যরা সর্বোচ্চ পেশাদারি, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। এ দায়িত্ব পালনকালে সর্বাধিক পুলিশ সদস্য মানবতার সেবায় জীবন বিসর্জন দেন।