শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

শ্যামাসুন্দরী এখন মশা উৎপাদনের কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

শ্যামাসুন্দরী এখন মশা উৎপাদনের কারখানা

ময়লা-আবর্জনায় রংপুর নগরীর ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খাল এখন মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ময়লা-আবর্জনায় রংপুর নগরীর ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খাল এখন মশা উৎপাদনের কারাখানায় পরিণত হয়েছে। দূষিত পানিতে মশা অনায়াসে বংশ বিস্তার করে নগরবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং, গরম ও মশার অত্যাচারে নাজেহাল হয়ে পড়েছে নগরবাসী। তবে সিটি মেয়র বলেছেন, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই মশক নিধন কার্যক্রম চালু করা হবে।

রংপুর নগরীর জলাবদ্ধতা দূর এবং ম্যালেরিয়ার হাত থেকে নগরবাসীকে মুক্ত রাখতে পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান ও ডিমলার রাজা জানকী বল্লভ সেন ১৮৯০ সালে তার মা চৌধুরানী শ্যামাসুন্দরী দেবীর নামে এটি পুনঃখনন করেন। ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ শ্যামাসুন্দরীর সম্মুখে নগরীর কেলাবন্দের ঘাঘট নদী। এটি ঘাঘট নদী থেকে শুরু করে ধাপ পাশারীপাড়া, কেরানীপাড়া, মুন্সিপাড়া, ইঞ্জিনিয়ারপাড়া, গোমস্তাপাড়া, সেনপাড়া, মুলাটোল, তেঁতুলতলা, নূরপুর, বৈরাগীপাড়া হয়ে মাহিগঞ্জের মরা ঘাঘটের সঙ্গে যুক্ত হয়। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না করায় খালটি নাব্য হারিয়ে ফেলেছে। এর দুই ধারে অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে খালটি। সামান্য বৃষ্টিতেই গোটা শহরে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ১১৭ বছর পর ২০০৭ সালে পৌরসভা ক্যানেলটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় নগরবাসীর মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। আবার যেখানে সংস্কার হয়েছে তা ধসে গিয়ে এখন ধ্বংসস্ত‘পে পরিণত হয়েছে।  ময়লা আবর্জনার স্তূপ জমে মশা উৎপাদনের কারাখানায় পরিণত হয়েছে। খালের উৎসমুখ থেকে মাহিগঞ্জ পাটবাড়ি পর্যন্ত খালের দুই পাশের প্রায় ১০ কিলোমিটার সংস্কার কাজ হাতে নেওয়া হয়।

 এর জন্য আগে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় হাল জরিপ করা হয়েছে। মৌজাভিত্তিক কেল্লাবন্দ, রাধাবল্লভ, আলমনগর, রঘুনাথগঞ্জ ও ভগি এলাকার ১৭০ জনকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সিটি করপোরেশন বলছে ১৭০ অবৈধ দখলদারের মধ্যে ১১ জন আপত্তি দিয়েছে। তাদের আপত্তির কারণে উচ্ছেদ অভিযান হয়নি। শ্যামাসুন্দরী পরিষ্কার করতে নগরবাসী বিভিন্ন সময় আন্দোলন সভা সমাবেশ করলে আশ্বাস ছাড়া কিছুই জোটেনি।

সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডেই মশা নিধন অভিযান শুরু করা হবে। শ্যামাসুন্দরীতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর