বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আয়ের রেকর্ড চট্টগ্রাম বন্দরের

এ বছর আয় ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা, রাজস্ব দেওয়া হয়েছে ৫৭৬ কোটি টাকা

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

আয়ের রেকর্ড চট্টগ্রাম বন্দরের

আয়ের রেকর্ড গড়েছে দেশের অর্থনীতির প্রাণ ভোমরা চট্টগ্রাম বন্দর। জেটি ভাড়া, ক্রেন চার্জ, পোর্ট ডিউস, বার্থিং, আনবার্থিংসহ অন্যান্য খাত থেকে চট্টগ্রাম বন্দর আয় করেছে ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে বেতন-ভাতা, করসহ অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে নিট আয় করেছে ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। যা এ যাবত নিট আয়ের রেকর্ড।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন নতুন ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। সার্বিক অগ্রগতির জন্য লিয়েডস লিস্টের তালিকায় শীর্ষ ১০০ কনটেইনার হ্যান্ডলিংকারী বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৬৪তম। তিন ধাপ এগিয়েছে আগের বছরের চেয়ে। বছরে গড়ে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। সক্ষমতার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে আয়ও। এ বছর নিট আয়ের রেকর্ড গড়েছে বন্দর।’ বন্দরের দেওয়া তথ্য মতে- এ বছরে বন্দর আয় করেছে ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। এ আয় থেকে রাজস্ব খাতে দেওয়া হয়েছে ৫৭৬ কোটি টাকা। উন্নয়ন খাতে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা, ৪২ কোটি টাকা দেওয়া হয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পৌরকর খাতে, বেতন-ভাতা খাতে ব্যয় হয় ১৮০ কোটি টাকা। বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় বাদ দিয়ে এ বছর বন্দরের নিট আয় হয়েছে ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। এর আগে ২০২০-২১ অর্থ বছরে বন্দরের মোট আয় হয়েছিল ৩ হাজার ৭০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে নিট আয় ছিল ৬৯৮ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে আয় হয় ২ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে সে আয় ছিল ২ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা এবং ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে আয় ২ হাজার ৪০৭ কোটি। জানা যায়, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার ফলে বেড়েছে সক্ষমতা। বন্দরে বেড়েছে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং এবং জাহাজের বন্দর ব্যবহারের পরিমাণ। এতে করে বন্দরে বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি কর্মচঞ্চল হওয়ায় বেড়েছে আয়ও। এ বছর ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা আয় করে বন্দর। আয়ের খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে স্টোরেজ চার্জ, টার্মিনাল চার্জ, স্টাফিং-আনস্টাফিং চার্জ, ইলেকট্রিক চার্জ, এফডিআর খাতে আয়, বার্থ, জেটি ভাড়া, কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি) চার্জ, ক্রেন চার্জ, পোর্ট ডিউস, বার্থিং আনবার্থিং, পাইলটিং ফি, টাগবোট ভাড়া, জাহাজে পানি সরবরাহ, কার্গো ল্যান্ডিং চার্জ, শিপিং চার্জ, রিমোভাল চার্জ, বন্দরের জায়গা ও স্থাপনার ভাড়া অন্যতম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর