শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

খুলনায় অধিকাংশ বহুতল ভবন অগ্নিঝুঁকিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

নিয়ম না মেনেই গড়ে ওঠা খুলনার অধিকাংশ বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সেরও নেই আগুন নিভানোর অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। ফলে মহানগরীর কেডিএ এভিনিউ, মজিদ সরনি, মুজগুন্নি এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বহুতল ভবনগুলো রয়েছে ভয়াবহ অগ্নিঝুঁকিতে। এর মধ্যে ৫ অক্টোবর খুলনা বড় বাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পর ঝুঁকির বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, খুলনার বিভাগীয় উপপরিচালক মো. সালেহ উদ্দিন জানান, বড়বাজারের অভ্যন্তরে সড়ক সংকীর্ণ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভিতরে ঢুকতে সমস্যা হয়। পরে নদীতে নৌকা নিয়ে দোকানের পিছন দিক থেকে আগুন নেভানো হয়। পাশাপাশি লাগোয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে।

জানা যায়, খুলনা নগরীতে বর্তমানে ছয় তলার অধিক আবাসিক ভবন রয়েছে দেড় শতাধিক। এছাড়া  বহুতল বাণিজ্যিক ও বাণিজ্যিক কাম আবাসিক ভবন আরও বেশ কয়েকটি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর কেডিএ এভিনিউ, নিরালা আবাসিক, খালিশপুর মুজগুন্নি এলাকায় অধিকাংশ ভবনে আগুন নিভানোর প্রাথমিক ব্যবস্থা ফায়ার অ্যালার্মিং সিস্টেম, ফায়ার প্রটেকশন ডোর ও আলাদা বহির্গমন সিঁড়ি নেই। বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা হাসপাতাল ও মার্কেটে আশেপাশে পানির উৎস বা অনেক ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশের পর্যাপ্ত সুযোগও নেই। এদিকে খুলনায় বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অফিসে জনবল সংকটের পাশাপাশি অগ্নিপ্রতিরোধক আধুনিক সরঞ্জাম সীমিত। যার ফলে অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটলেই হিমশিম খেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে।

খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন শিকদার জানান, বহুতল ভবনে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে টার্ন টেবিল লেদার (টিপিএল) বা ১৮ তলা মই বিশিষ্ট কোনো গাড়ি খুলনায় নেই। অনেকে জানেনই না এসব ভবনে অগ্নিদুর্ঘটনা কিভাবে মোকাবিলা করতে হয়। তিনি বলেন, ঝুঁকি মোকাবিলায় বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাসহ কাগজপত্র যাচাই কাজ শুরু হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর