শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বদলে যাচ্ছে বরেন্দ্রর চাষাবাদ

আম, পেয়ারা, সবজি ও পানি সাশ্রয়ী ফসল চাষে ঝোঁক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বরেন্দ্রর মাঠ। যত দূর চোখ যায় বিস্তর এলাকাজুড়ে ধান আর ধান। এমন দৃশ্য বরেন্দ্রে স্বাভাবিক হলেও ধান উৎপাদনে পানি ব্যবহারে আছে চোখ কপালে উঠে যাওয়ার মতো তথ্য। ১ কেজি ধান উৎপাদনে ১ হাজার ৫০০ লিটার থেকে ২ হাজার লিটার পানি খরচ হয়। যার বেশির ভাগ ব্যয় হয় ভূগর্ভ থেকে। পানি সংকটের কারণে চাষিরা ধানের বিকল্প আবাদের কথা ভাবতে শুরু করেছে। বদলে যাচ্ছে বরেন্দ্রের চাষাবাদ। সব মিলিয়ে বরেন্দ্রের কৃষিতে পরিবর্তন ঘটছে। যেসব ফসল অল্প পানি ব্যবহারে জন্মে সেসব ফসলের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা। ভূগর্ভস্থ পানি নেমে গেছে। যার কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলের দীর্ঘদিনের আবাদ ধান চাষ থেকে সরে আসছেন চাষিরা। ধানের শিকড় মাটির খুব বেশি গভীরে প্রবেশ করে না। যার কারণে সেচ খরচ বেড়েছে। গত এক যুগে একটু একটু করে অনেকটা বদলে গেছে বরেন্দ্রের কৃষি। পানির সমস্যা একদিকে যেমন প্রকট হয়ে উঠছে অন্যদিকে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে মাটির ওপরের স্তর তপ্ত হয়ে উঠছে। যার কারণে বেশি সেচজনিত ফসলগুলোতে বাড়ছে খরচ। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ২০১১ সালে রাজশাহীতে আম বাগানের জমির পরিমাণ ছিল সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর। যা এখন বেড়ে ১৮ হাজার হেক্টর। পেয়ারা বাগান ছিল ৬৮২ হেক্টর, এখন ৫ হাজার হেক্টর। বেড়েছে সবজির চাষও।

রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর গ্রামের কৃষক আসাদুজ্জামান মিঠু জানান, মাত্র বছর দশেক আগে ধানে যে পরিমাণে সেচ লাগত এখন তার চেয়ে দ্বিগুণ লাগে। বৃষ্টি নেই। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, বেশ কয়েক বছর থেকে বরেন্দ্র অঞ্চলে বোরো ধানের বদলে অন্য ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর