রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

এবারও পোষ্য কোটায় সেই শিক্ষার্থীদের ভর্তির চেষ্টা

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর পেয়ে পাস করতে না পারায় পোষ্য কোটায় ফাঁকা রয়েছে বেশির ভাগ আসন। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের পাস নম্বর কমিয়ে ভর্তি করানোর চেষ্টা চলছে। দফায় দফায় সভা ডেকে ভর্তি উপকমিটির সদস্যদের সম্মতি আদায়ের তোড়জোড় চলছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, ২৪ অক্টোবর উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে ভর্তি উপকমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ‘সি’ ইউনিটে আবশ্যিকে ২৫ ও ঐচ্ছিকে ১০ নম্বর পাওয়ার শর্ত পূরণ করতে পারেননি এমন পোষ্য কোটার শিক্ষার্থীদেরও ভর্তি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বেশির ভাগ সদস্য এতে অসম্মতি জানালে প্রস্তাবটি সভায় পাস হয়নি। আজ ভর্তি উপকমিটি আবার সভা ডেকেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর (২০২১-২২ সেশন) রাবিতে কোটাসহ ৪ হাজার ৬৪১টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন দেড় লাখের বেশি শিক্ষার্থী। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০। প্রতি বছর পোষ্য কোটায় মূল আসনের ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস নম্বর পেলে ভর্তির সুযোগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের বিশেষ বিবেচনায় এই সুযোগ দেওয়া হয়।

বিগত সময় থেকেই পাস নম্বর কমিয়ে রাবিতে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী ভর্তি করানো নিয়ে চলছে সমালোচনা। গত বছর একইভাবে পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করলে বিতর্ক হয়েছে। এই পদ্ধতিতে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী ভর্তির সমালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদ্ধতি কখনো গ্রহণযোগ্য নয়, কাম্যও নয়। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। তার নিচে এসে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা ঠিক নয়। বেশির ভাগ শিক্ষকই এই পদ্ধতির বিপক্ষে। কারণ এটা নিয়ে বারবার সমালোচনা ও বিতর্ক হয়।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর