জাতীয় পর্যায়ে তিন দিনব্যাপী হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্মেলন এবং এ সংক্রান্ত মেলা শুরু হচ্ছে আগামীকাল। শেষ হবে আগামী শনিবার। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলন ও মেলা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হাবের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী, মহাসচিব ফারুক আহমদ সরদারসহ অন্য নেতারা।
বাংলাদেশের প্রায় ৯৬ শতাংশ হজ এবং শতভাগ ওমরাহযাত্রী বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে যান জানিয়ে হাব সভাপতি শাহাদাত হোসাইন বলেন, অতীতে হজ ব্যবস্থাপনায় নানারকম ত্রুটি-বিচ্যুতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা ছিল।
কিন্তু বর্তমান সরকার ও হাবের প্রচেষ্টায় হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এবং শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। বাংলাদেশে হজযাত্রীদের বেশির ভাগই গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। কিন্তু বেশির ভাগ হজ ও ওমরাহ এজেন্সির প্রাতিষ্ঠানিক কাজকর্ম ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই এই মেলার মাধ্যমে সব হজ এজেন্সি সম্পর্কে সবাইকে পরিচয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য। এ ছাড়া প্রযুক্তি নির্ভর হজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, হজযাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা, হজকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্য ও মধ্যস্বত্বভোগী রোধ এবং হজ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদান-প্রদানসহ হজ ও ওমরাহ সম্পর্কে অবহিতকরণ এই মেলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। যাত্রী, হজ এজেন্সি ও অন্যান্য অংশীজনদের মধ্যে ই-হজ সিস্টেম ও মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আদান-প্রদানে দুটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। হজ ও ওমরাহ মেলায় ১৫২টি স্টল থাকবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে সমাপনী অনুষ্ঠান হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
-Sylhet-23_04.jpg?v=1713873997)
