শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ঝুঁকি নিয়ে সাত শতাধিক শিক্ষার্থীর বসবাস

♦ জরুরি ভিত্তিতে ছাত্রাবাস সংস্কার দাবি ♦ ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশাল বিএম কলেজের মহাত্মা অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসে ঝুঁকি নিয়ে থাকছেন সাত শতাধিক শিক্ষার্থী। ওই হলের তিন তলা দুটি ভবনই অর্ধশত বছরের পুরনো ও জরাজীর্ণ। প্রায়ই ভবনের দেয়াল এবং সিলিংয়ের পলেস্তারা খসে পড়ে আহত হন শিক্ষার্থীরা।  অশ্বিনী কুমার দত্ত ছাত্রাবাসটি (ডিগ্রি হল) ‘এ’ এবং ‘বি’ ব্লকে বিভক্ত। জরাজীর্ণ ভবন দুটির দেয়াল এবং সিলিংয়ের পলেস্তারা খসে পড়েছে। অনেক স্থানে সিলিংয়ে ছাদের পুরনো মরচে ধরা রড বেরিয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে শিক্ষার্থীদের বিছানায়, পড়ার টেবিলে। দরজা-জানালাও নাজুক। ভিতরে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ। বাথরুম-টয়লেটগুলোতে দরজা নেই। সেখানে নোংরা দুর্গন্ধ। গত রবিবার দুপুরে ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ওসমান গনি বলেন, সকালে কক্ষের সামনে বারান্দায় চেয়ারে বসে পড়ছিলেন তিনি। হঠাৎ সিলিংয়ের পলেস্তারা খসে পাশে পড়ে। এতে অল্পের জন্য বেঁচে যান। মাথায় পড়লে ওখানেই শেষ হয়ে যেতেন তিনি। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে অভিযোগ তার। হলটি সংস্কার হবে বলে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী পদার্থবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই ছাত্রাবাসের ‘এ’ ব্লকে প্রায় সাড়ে তিন শ ছাত্র বসবাস করে। হলটি ভেঙে পড়লে মৃত্যুর মিছিল হতে পারে। আবাসিক শিক্ষার্থী গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের রেজাউল করিম বলেন, আগে হল ভাড়া ছিল সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এখন নেয় ৫ হাজার টাকা।  অ্যাকাউন্টিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. নাজমুল হোসাইন বলেন, কখন ছাদ ভেঙে পড়বে সেই আশঙ্কা রয়েছে।  অশ্বিনী কুমার দত্ত ছাত্রাবাসের সুপারিনটেনডেন্ট অধ্যাপক মো. শাহে আলম হাওলাদার বলেন, জরাজীর্ণ ছাত্রাবাসটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। ছাত্রাবাসটির দুরবস্থার কথা স্বীকার করেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া।

বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হল সংস্কার করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর