রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি

১৫ ঘণ্টা আগে নির্বাচন বর্জন করল সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পক্ষ নেওয়ায় খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বর্জন করেছে সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ। গতকাল সন্ধ্যায় ঐক্য পরিষদের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট গাজী আ. বারী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আজ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ১৫ ঘণ্টা আগে ভোট বর্জন করল আইনজীবী ঐক্য পরিষদ। নির্বাচনী প্রচারণায় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত সাইফুল ইসলাম ও তারিক মাহমুদ পরিষদ এবং সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত শরিফুল ইসলাম ও শহিদুল আলম প্যানেল অংশ নেয়। ঐক্য পরিষদের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট গাজী আ. বারী বলেন, সমিতির গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সাইফুল ইসলাম ও তারিক মাহমুদ পরিষদ আদালত চত্বরে বিলবোর্ড, ব্যানার ফেস্টুন, গেট নির্মাণসহ লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে বার নির্বাচনকে ট্রেড ইউনিয়নের নির্বাচনের পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

দীর্ঘদিনের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন চলাকালীন ভোটকক্ষের ভিতরে প্রার্থীরা অবস্থান করতে পারবেন না। কিন্তু বর্তমান সভাপতি সাইফুল ইসলাম ভোট চলাকালে নির্বাচনকক্ষে অবস্থান করার ঘোষণা দিয়েছেন।

এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে পাঁচবার লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উপরন্তু তারা সাইফুল ইসলাম ও তারিক মাহমুদকে ভোটকক্ষে বসার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর ফলে ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা নির্বাচনে নিরপেক্ষতা না থাকায় লিখিতভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

এর আগে দুপুরে আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ের সামনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ। সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট গাজী বলেন, আইনজীবীদের মাঝে মুল্যবান শাড়ি, স্যুটপিস ও নগদ টাকা বিলি করা হচ্ছে। যা আইনজীবীদের সম্মানকে ধুলায় মলিন করেছে। এ সময় পরিষদের সভাপতি প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার খোকন ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম শহীদুল আলম শহিদ উপস্থিত ছিলেন। 

অপরদিকে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদের সভাপতি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসরণ করেই উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু জোয়ার্দ্দার খোকন-শহিদুল পরিষদ ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে আইনজীবীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, আমাদের একটি মাত্র প্যানেল পরিচিতি সভা হয়েছে। অথচ, তারা ২২ ও ২৩ তারিখে দুটি পরিচিতি সভা করেছে। যা নির্বাচনী আচরণবিধি পরিপন্থী। ধারাবাহিক পরাজয় নিশ্চিত জেনেই জোয়ার্দ্দার খোকন-শহিদুল পরিষদ নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর