জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ফুটবল খেলা নিয়ে মওলানা ভাসানী হল ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় চ্যান্সেলর কাপ ফুটবল খেলায় কামালউদ্দিন হলের এক খেলোয়াড়কে মারধরের জেরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা ও সংশ্লিষ্ট হল দুটির সামনে এই সংঘর্ষ হয়। এতে দুই হলের সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত দুজনকে ঢাকার বেসরকারি একটি ডেন্টাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানুর রহমান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ ইটের আঘাতে মাথা, হাত, মুখ ও পায়ে জখম পেয়েছে। আমরা মুখে আঘাত পাওয়া দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আর বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মুখে গুরুতর আঘাত পাওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন মওলানা ভাসানী হলের প্রতীক (পরিবেশ-৪৭) ও কামালউদ্দিন হলের অর্পণ (ইতিহাস-৫০)।
শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকালে চ্যান্সেলর কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে মওলানা ভাসানী হল ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের খেলা ছিল। খেলায় কামালউদ্দিন হল গোল করলে ভাসানী হলের খেলোয়াড়দের চাপে সেটি বাতিল করে ফাউল ধরেন রেফারি। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে কামালউদ্দিন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল ও সহসভাপতি ফরহাদ হোসেনকে মারধর করেন ভাসানী হলের শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফিরোজ-উল-হাসান এলেও কোনো সমাধান হয়নি। পরে সন্ধ্যার দিকে উভয় হলের শিক্ষার্থীরা রামদা, ছুরি, রড, লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আমরা এসে কথা বললেও তারা শান্ত হয়নি। পরে সংঘর্ষে জড়ায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।