আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, ১৪ বছরের ক্ষমতায় শেখ হাসিনা দরিদ্র বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত করেছেন। ৪১ সালের মধ্যে এ দেশকে ইউরোপ-আমেরিকার মতো গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে একাত্তরের পরাজিত শক্তি রাজাকার-আলবদর-আলশামস ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল বিকালে মানিকগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
মির্জা আজম রাজাকার-আলবদরদের কথা উল্লেখ করে বলেন, একাত্তরে এরা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, ২ লাখ ৭০ হাজার মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে। একাত্তর সালের সেই পরাজিত শক্তি পঁচাত্তর সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। তারপর সেই পঁচাত্তরের খুনিরাই ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করার জন্য ১৪টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আইভি রহমানসহ ২৪ জনকে হত্যা করেছে।
মির্জা আজম বলেন, ‘আজ একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতকরা আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। শুধু ঐক্যবদ্ধই হয়নি, তারা আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে। ১০ তারিখ থেকে নাকি তাদের নেতা খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। খুনি জিয়ার ছেলে খুনি তারেক রহমান নাকি ১১ তারিখ দেশে এসে এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি বঙ্গভবনে যাবেন ক্ষমতা দখল করতে। প্রকাশ্যে ষড়যন্ত্রের হুমকি দিয়ে তারা মাঠে নেমেছে।’ তিনি বলেন, ‘১৪ বছর এরা ঘুমিয়ে ছিলেন। ১০ তারিখ ঢাকায় সমাবেশ ডেকে এদের ঘুম ভাঙিয়েছেন ফখরুল। সুতরাং খুনিদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওসার, আনোয়ার হোসেন এবং শাহাবুদ্দিন ফরাজি। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
