জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীরা অনেক প্রতিভার অধিকারী। সব প্রতিবন্ধকতা সমাধান করে কিশোরীরা এগিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মেয়েরা এখন অনেক বেশি উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী। এ সময় কিশোরীদের বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে বিবাহ রেজিস্ট্রার প্রতিনিধির ভূমিকাসহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার সমন্বয় জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনের পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ দরকার।
গতকাল ‘কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদের ‘এসপিসিপিডি’ প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি। আরও বক্তব্য রাখেন ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি, আরমা দত্ত এমপি, হাবিবে মিল্লাত এমপি, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টিন ব্লখুস, ‘এসপিসিপিডি’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ প্রমুখ।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রজনন স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি দরকার। অভিভাবক-শিক্ষক-কমিউনিটি পর্যায়ে সবার সহযোগিতা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সমগ্র দেশে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। স্পিকার আরও বলেন, এসপিসিপিডি প্রকল্পটি সারা বাংলাদেশে সফলতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর সুফল কিশোরী, নারী তথা সমাজের সবাই পাচ্ছে। বাল্যবিয়ে, মাতৃমৃত্যু, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ এসব কাজে সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ এলাকার পাশাপাশি অন্যান্য এলাকাতেও এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। যার ইতিবাচক প্রভাব সারা দেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ব্যবস্থাপনা কিশোরীদের জন্য সম্পূর্ণ শিক্ষামুখী। সরকারের পক্ষ থেকে বৃত্তি প্রদান, শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ইত্যাদি সুযোগগুলো গ্রহণ করে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ ও মেয়েদের শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবার ও সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।