বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
সিলেটে প্রকাশ্যে কামাল হত্যা

অধরা খুনি, বিএনপিও নীরব

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

অধরা খুনি, বিএনপিও নীরব

গাড়ি আটকে ৬ নভেম্বর প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হয় সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামালকে। ওই হত্যায় নেতৃত্ব দেন মহানগর যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান সম্রাট। ওই সময় কামাল হত্যার প্রতিবাদে সিলেটে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেয় বিএনপি। এরপর বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ওই আলটিমেটাম থেকে সরে আসে দলটি। তবে এখন একেবারেই নীরব রয়েছে সংগঠনটি। এ নিয়ে দলের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। ওই ঘটনায় র‌্যাব-পুলিশ পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করলেও প্রধান অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান সম্রাট এখনো অধরা রয়ে গেছেন।

যদিও এ ঘটনায় ওই সময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছিল সিলেটের রাজনীতি। কামাল হত্যার খবর পেয়ে বিক্ষোভ করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ঘটনার রাতেই এর জের ধরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে যুবলীগ-ছাত্রলীগের। বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ করে কামাল হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়। এরপর ওই আলটিমেটাম থেকে সরে এসে ১৯ নভেম্বর বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষে কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানানো হয়। এরপর বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষ হলেও কোনো কর্মসূচি দিতে পারেনি বিএনপি। এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হলে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশের পর কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার আশ্বাস দেন নেতারা। কিন্তু এরপরও এ সংক্রান্ত কোনো কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। এতে অসন্তোষ আরও বেড়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা বলেন, কামাল ছাত্রজীবন থেকে বিএনপির আদর্শের রাজনীতি করেছেন। দলে তার অবদান অনেক। অথচ তাকে হত্যার প্রতিবাদ ও খুনিদের গ্রেফতার দাবিতে কর্মসূচি দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করছেন দলের নেতারা। এভাবে চললে দলের জন্য কেউ কাজ করতে চাইবে না।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, সিলেট ও ঢাকার গণসমাবেশের কারণে কর্মসূচি দেওয়া যায়নি। তবে শিগগিরই এই ইস্যুতে বিএনপি সিলেটের রাজপথে নামবে। এদিকে, এ হত্যার পর র‌্যাব ও পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া উচ্চ আদালত থেকে দুই আসামি অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। কিন্তু এখনো অধরা রয়ে গেছেন প্রধান আসামি আজিজুর রহমান সম্রাট। র‌্যাব-পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, সম্রাটকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই তার অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাকে গ্রেফতারে সোর্স লাগানো হয়েছে। দেশ থেকে যাতে পালাতে না পারে সে জন্য সব ইমিগ্রেশনে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর