বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে এবারও ভরসা অস্থায়ী শহীদ মিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

স্বাধীনতার পাঁচ দশক পার হয়েছে। অথচ চট্টগ্রামে নির্মিত হয়নি একটি স্মৃতিসৌধ। ফলে ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বরের মতো জাতীয় কর্মসূচিগুলো পালন করতে হয় শহীদ মিনারে। কিন্তু সেই শহীদ মিনারটিও গত বছরের ডিসেম্বরে ভেঙে নতুন একটি শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বরের আগে শহীদ মিনারটির কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা হয়নি। ফলে এবারও অস্থায়ী শহীদ মিনারে বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে। সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় পুরনো শহীদ মিনারে। ১৯৬২ সালে নগরের কে সি দে রোডে পাহাড়ের পাদদেশে চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়। ১৯৭৪ সালে এটি বর্তমান রূপ ধারণ করে। জানা যায়, গণপূর্ত বিভাগ সরকারি গণগ্রন্থাগার ও চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট হল ভেঙে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এ কারণে শহীদ মিনারটি সংস্কারের প্রয়োজন দেখা দেয়। তখন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুরনো নকশায় নতুন শহীদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে ওই বছর বিজয় দিবসের আগেই নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি ছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভায় পুরনো শহীদ মিনারটি সংস্কার ও সম্প্রসারণ কাজ পরবর্তী নয় মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। চসিকের উদ্যোগে গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি নগরের মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে একটি বিকল্প শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। সেখানেই ২১ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ মার্চ পালন করা হয়। বর্তমানে নির্মিত শহীদ মিনারের স্তম্ভ তৈরির এখনো কাঠামো বসানো হয়নি। নিচের ভিত্তি নির্মাণের পর বেদির ঢালাই কাজ চলছে। সেটা শেষ হলে শহীদস্তম্ভ, মুক্তমঞ্চ এবং মুসলিম হল থেকে শহীদ মিনারে যাওয়ার রাস্তার ওপর ২১ প্লাজা নির্মাণের কাজ শুরু হবে। গণপূর্ত অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ বলেন, নানা কারণে নতুন শহীদ মিনারটির নির্মাণকাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়।

শহীদ মিনারের সামনের সড়কটি বন্ধ করতেও আমাদের বেগ পেতে হয়েছিল। তবে বর্তমানে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। শহীদ মিনারের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর