বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

কেসিসির গুচ্ছ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ধীরগতি

পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উন্নয়ন কমিটির

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

২০১৮ সালে সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর খুলনাকে উন্নত পরিচ্ছন্ন স্বস্তির নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। এরই ধারাবাহিকতায় সড়ক মেরামত, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা নিরসন, অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নেওয়া হয় একগুচ্ছ পরিকল্পনা। কিন্তু করোনা সংক্রমণ, নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় ক্ষেপণ হয়েছে। এতে নগরবাসীর ভোগান্তি বাড়ছে। জানা যায়, ১৪৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নে চলমান বড় দুই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৩ সালের জুন মাসে। এ ছাড়া ৩৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে।  নাগরিক নেতারা বলছেন, অধিকাংশ প্রকল্পের মেয়াদ প্রায় শেষ হলেও বাস্তবায়নে ধীরগতিতে সুফল মেলেনি।  এখনো অসংখ্য রাস্তা-ড্রেনে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। কোথাও রাস্তা খুঁড়ে ইটের খোয়া, বালু দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সংস্কার কাজ শেষ না করায় সেখানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজও ঝিমিয়ে গেছে।   বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন কাজ চলছে। কিন্তু সমন্বয়হীনতা ও ধীরগতির কারণে প্রকল্পে তেমন অগ্রগতি হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতিতে নগরজুড়ে ভোগান্তি বাড়ছে। নাগরিক নেতারা বলছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে দাতা সংস্থার বরাদ্দে বস্তি এলাকায় রাস্তা, ড্রেন, কালভার্ট, টয়লেট নির্মাণ, বর্জ্য হতে কম্পোস্ট সার, বিদ্যুৎ জ্বালানি উৎপাদন, নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসন নির্মাণ, ময়ূর নদসহ সংযুক্ত খাল খনন, নগরবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, শহররক্ষা বাঁধ সংরক্ষণ কাজেও অনেক ক্ষেত্রে ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে।      

সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘দুই বছর করোনাকালে আমরা কাজ করতে পারিনি। কোনো শ্রমিক পাওয়া যায়নি। এই দুই বছর আমাদের ক্ষতি হয়েছে। টেন্ডার দিয়েছি কিন্তু কাজ করা যায়নি। আবার আবহাওয়াও অনুকূলে ছিল না। আষাঢ়-শ্রাবণে বৃষ্টি হওয়ার কথা, কিন্তু এ বছর তা হয়নি। বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে পিছিয়ে যেতে হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৮ সালের এলজিডির ইস্টিমেট অনুযায়ী রেট দিয়ে টেন্ডার করা হয়েছে। কিন্তু এখন দেখা গেছে নির্মাণসামগ্রীর দাম ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এতে ঠিকাদাররা ক্ষতি এড়াতে কাজে বিলম্ব করছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর