রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মধ্যরাত থেকে বন্ধ প্রচারণা ঝুঁকিতে ৮৬ কেন্দ্র

রংপুর সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

মধ্যরাত থেকে বন্ধ প্রচারণা ঝুঁকিতে ৮৬ কেন্দ্র

রংপুর সিটি করপোরেশনে মঙ্গলবার তৃতীয়বারের মতো ভোট গ্রহণ হতে যাচ্ছে। আজ  মধ্যরাত থেকে প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে। ৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর গতকাল সবশেষ প্রার্থীদের প্রচারণায় মুখর ছিল সিটি করপোরেশনের অলি-গলি। এদিকে মেট্রোপলিটন পুলিশ ৮৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত     করেছে। এসব কেন্দ্রে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে। নয়জন মেয়র, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৬৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর ১৮৩ জনসহ ২৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, মূল লড়াই হবে নৌকা-লাঙ্গলের মধ্যে। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলনও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। মিলনের দাবি মূল ভোটযুদ্ধ হবে তার সঙ্গে লাঙ্গলের। আওয়ামী লীগ থাকবে তৃতীয় স্থানে। ইসলামী আন্দোলন রংপুর মহানগর সভাপতি আমিরুজ্জামান পিয়ালের ভোট গত নির্বাচনের চেয়ে কিছুটা বাড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন। এ ছাড়া নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আবু রায়হান, খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল, জাসদের শফিয়ার রহমান, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি।

বিগত ২০১৭ সালের নির্বাচনে ১৯৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর মধ্যে ১২৮টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার ৩৬টি বেড়ে কেন্দ্রর সংখ্যা হয়েছে ২২৯টি। এসব কেন্দ্রের মধ্যে মেট্রোপলিটন পুলিশ ৮৬ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২০১৭ সালের নির্বাচনের ভোটার সংখ্যার তুলনায় এবার ভোটার বেড়েছে ৩২ হাজার ৫৭৫ জন। এবার ভোটার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জনে। এ ছাড়াও এবার স্থায়ী ভোট কক্ষ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৪৯টি এবং অস্থায়ী ভোট কক্ষ আছে ১৯৩টি। এদিকে ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য যে ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন, তা পুনঃবিবেচনার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক সমাজ। রংপুর প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী এই নির্দেশনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশনের এসব নির্দেশনা স্বাধীন সাংবাদিকতায় এক ধরনের বাধা। মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।

সিটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্বপন চৌধুরী বলেন, এ ধরনের নির্দেশনা সরাসরি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। তিনি ১৩ দফার নির্দেশনার মধ্যে কয়েকটি নির্দেশনা পুনঃ বিবেচনার দাবি করে বলেন বিগত নির্বাচনে এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এবার কেন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ, ১০ মিনিটের বেশি কেন্দ্রে অবস্থান করা যাবে না এ বিষয়টি একেবারে মেনে নেওয়া যায় না।

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন বলেন, নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের সিদ্ধান্তে সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। তিনি নির্দেশনা পুনঃ বিবেচনার দাবি করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর