বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রকৌশলীদের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে সব প্রকৌশলীকে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীরা। সেমিনারের মূল প্রবন্ধে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য মহাসড়ক নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট হাইওয়ে তৈরি করার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে রয়েছে বসুন্ধরা বিটুমিন।

গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির ৩০তম সম্মেলন ২০২২ উপলক্ষে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে ‘4IR Technologies and Preparedness of Roads and Highways Department’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার বক্তারা এ আহ্বান জানান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রকৌশলী ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ও প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নেন  সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান। প্যানেল আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল জব্বার খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার চক্রবর্তী। প্রকৌশলী ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা যদি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চাই তাহলে আমাদের সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের ভূমিকা অনেক বেশি। প্রধানমন্ত্রী একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আমাদের সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্টেলিজেন্স ট্রান্সপোর্ট’ও সিস্টেম নিয়ে কাজ করতে চাইলে আমাদের হাইওয়ে বেজড নেটওয়ার্কগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের একটি আইটিএস মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। সেখানে ২ হাজার ১৯৫ কিলোমিটার সড়ককে আইটিএসে আনতে হবে।’ প্রধান অতিথি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘আমরা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চাইলে আমাদের সড়ক-মহাসড়কের দিকে নজর দিতে হবে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়েছিলেন, এর প্রধানতম পরিকল্পনা ছিল একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। সেই সঙ্গে কানেকটিভিটি বা যোগাযোগ সমৃদ্ধ করা।’ দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু একটি দুঃসাহসিক পরিকল্পনা হাতে নেন। তিনি তখন ৫০০ সড়ক ও ব্রিজের কাজ সম্পন্ন করেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশে এত বড় কাজ অলৌকিক শক্তি ছাড়া করা অসম্ভব। তিনি একটি সুখী-সমৃদ্ধ জাতি গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি তার পরিকল্পনা সমাপ্ত করতে পারেননি। তার স্বপ্নকে পরিপূর্ণ করে চলেছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকে ঘর থেকে বের হলেই ব্যাংক, হাতে হাতে স্মার্টফোন। তিনি দেশকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সেই অবদান মেনে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে।’ প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলেন, ‘সড়কে যেন দুর্ঘটনা না ঘটে। মানুষকে সড়কে চলাচলের জন্য সব ধরনের সুবিধা দিতে হবে। আমাদের প্রধানতম অবকাঠামো হলো হাইওয়ে। কিন্তু এ মুহূর্তে আমাদের দরকার ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর জন্য সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। সরকার যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছে সেটি কতটা সফল? আমি বলব সেটি পুরোপুরি সফল।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর