মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইবি উপাচার্যের কার্যালয়ে ফের তালা অস্থায়ী কর্মচারীদের

অডিও ফাঁস

ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অডিও ফাঁসের ঘটনায় উপাচার্যের কার্যালয়ে ফের তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছে চাকরিপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ও অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ। এ ঘটনায় উপাচার্যের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন ভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং উপাচার্যের অফিস তল্লাশি করা হয়। গতকাল সকালে উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। এ সময় উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে তারা। বেলা দেড়টায় দিকে তালা খুলে দেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা বিশ্বাবিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতর ও বিভাগে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন এবং তাদের বেশির ভাগই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। আন্দোলনে অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগনেতা মিজানুর রহমান টিটু, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোদ্দারসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আন্দোলন চলাকালীন বেলা ১২ টার দিকে উপাচার্যের অফিস তল্লাশী করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ, নিরাপত্তা কর্মকর্তা সেলিম, এস্টেট অফিসের প্রধান শামছুল ইসলাম জোহা, ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আর নূর জায়েদ বিপ্লব উপস্থিত ছিলেন। এর আগে একই দাবিতে গত রবিবার বেলা ১১টায় উাপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মসূচী পালন করেন তারা। এ সময় তারা উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় উপাচার্যের কার্যালয়ের তালা খুলে দেন তারা।

অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান টিটু বলেন, ‘ইবি ভিসি সবাইকে দুর্নীতি করে নিয়োগ দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি ধ্বংস করে দিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা দিয়ে নিজের বাড়ি বানাচ্ছেন। এই দুর্নীতিবাজ ভিসিকে আমরা এই বিশ্বদ্যালয়ে দেখতে চাই না। তার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।’

অডিও ফাঁসের বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবস্থান নিশ্চিত করেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্যের সহধর্মীর্নির নামে একাধিক ফেক আইডি খুলে সেখান থেকে একান্তই ব্যক্তিগত আলাপ-আলোচনা সংযোজন-বিয়োজন করে নিয়োগ বাণিজ্য করছেন বলে প্রকাশ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য কথিত নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়নি। এ বিষয়ে প্রয়োজনে ইউজিসি খতিয়ে দেখবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাল্পনিক এমন প্রচারনায় কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করা হলো।   

প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে 'ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিসেস সালাম’ নামে দুইটি ফেসবুক আইডি থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ও শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) উপাচার্যের পরপর পাঁচটি ফোনালাপের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। অডিওতে পরীক্ষার আগেই চাকরির প্রশ্নফাঁস ও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে শোনা যায়। অডিও ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিসিকে দুর্নীতিবাজ ও চোর আখ্যা দিয়ে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে ডে লেবার ও ‘অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ’।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর