সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

নাভিশ্বাস রংপুরের মানুষের

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রমজান মাস ঘিরে ভোজ্য তেল, চাল-আটা, শাক-সবজিসহ প্রতিটি পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির এই প্রতিযোগিতায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের নাভিশ্বাস উঠেছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম দল, বিএনপিসহ একাধিক সংগঠন মানববন্ধন করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। রংপুর সিটি বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রায় ৩০ ধরনের খেজুর রয়েছে। এর মধ্যে ৫-৭ ধরনের খেজুরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। গত বছর প্রতি কেজি আজওয়া খেজুর বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকায়। এ বছর সেই খেজুর পাইকারিতে ৭০০ টাকা আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। এ ছাড়া কোনো কোনো খেজুর দেড় থেকে ২ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি এবং খাসির ১ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। খুচরা বাজারে ব্রয়লার ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি (সোনালি) ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ধনেপাতা, ফুলকপি ও মটরশুঁটিসহ সব ধরনের সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ ছাড়া মাছ, চাল, ডাল ও তেলের দামও রয়েছে বৃদ্ধিতে। প্রতি কেজি টমেটো ৩০ টাকা, গাজর ৩০-৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, চিকন বেগুন ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা।

, লেবু ৪০-৫০ টাকা হালি, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস আকারভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ধনেপাতার কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালি ৩০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টিকুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শিম ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ১০ টাকা পিস এবং ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আদা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং রসুন ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে নতুন কার্ডিনাল আলু ১৫ থেকে ২০ টাকা, শিল ও ঝাউ আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, দেশি পিঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৯০ টাকা, দুই লিটার ৩৮০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, পাইজাম ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা, ব্রি-২৮ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, মিনিকেট ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা দেশি চিনি ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা ও খোলা আটা ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, ছোলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৮ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লবণ ৪০ টাকা, মসুর মোটা ১০০ টাকা, মসুর চিকন ১৩০ টাকা, বুট ডাল ১০০ টাকা, খেসারি ডাল ৮৫ টাকা, মুগ ডাল ১৪০ টাকা কেজি।

রংপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মো. জুননুনসহ অনেকেই বলেন, দেশে সিন্ডিকেট ও মজুদদারি প্রতিরোধে আইন হয়েছে। এই আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ করে সিন্ডিকেট ও মজুদদারদের দৌরাত্ম্য রোধ করা হলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসবে। তখন বাজার হবে প্রতিযোগিতামূলক। সরকার এটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের মানুষকে মূল্যবৃদ্ধিার জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর