শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডব্লিউইউএসটিতে ড. মোমেনের নামে লাখ ডলারের স্কলারশিপ

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ পরিচালিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি) ক্যাম্পাস পরিদর্শন করার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে যে ল্যান্ড অব অপরচ্যুনিটি বলা হয়, ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ তা প্রমাণ করিয়ে দেখিয়েছেন। পরে ড. মোমেনের নামে ১ লাখ ডলারের স্কলারশিপের ঘোষণা দেন আবুবকর হানিপ। ১১ এপ্রিল ওয়াশিংটনে অবস্থানকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডব্লিউইউএসটি পরিদর্শন করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।  প্রথম বারের মতো ক্যাম্পাস পরিদর্শনে এসে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। উল্লেখ্য, প্রথম কোনো বাংলাদেশি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ২০২১ সালে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব নেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ।

যার উদ্বোধন করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। দুই বছরের ব্যবধানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আবারও পেয়ে আবেগাপ্লুত হন চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ। হনিপ জানান, ৩০০  থেকে ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন প্রায় ১৫০০। তার মাঝে ৬০০-এর মতো বাংলাদেশি স্টুডেন্ট। জুলাই  থেকে নিজেদের নতুন ক্যাম্পাসে শুরু হতে যাচ্ছে কার্যক্রম। এ সময় যোগ হবে নার্সিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডেটা-সায়েন্সসহ নতুন কিছু  প্রোগাম।

বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন উদীয়মান বাংলাদেশ এবং এর আর্থ-সামাজিক অর্জনের বিষয়ে ১১ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসি-সংলগ্ন জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘আটলান্টিক কাউন্সিল’র সাউথ এশিয়া সেন্টার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে চমৎকার আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের গল্প উপস্থাপন করেন। ড. মোমেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব ও সম্ভাবনা, অর্থনৈতিক কূটনীতি, আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং প্রধান প্রধান শক্তিগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। দেশমাতৃকার সার্বিক কল্যাণে শেখ হাসিনার আন্তরিক আগ্রহের কাছে সব প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে যায় এবং তারই সুফল আজকের বাংলাদেশ।

পরে তিনি কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া কেন্দ্রের সিনিয়র ডিরেক্টর প্রফেসর ড. ইরফান নুরুদ্দিনের সঞ্চালনায় একটি প্রাণবন্ত প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশ নেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর