শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

সিলেটে জামায়াতের সমাবেশ নিয়ে হঠাৎ উত্তেজনা

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ নিয়ে হঠাৎ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আজ শনিবার বেলা ২টায় রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি পায়নি জামায়াত। সমাবেশস্থল পরিদর্শন করতে এসে আটক হয়েছেন জামায়াত-শিবিরের সাতজন। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি পাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদী জামায়াত। সমাবেশের আগের দিন পর্যন্ত অনুমতি না পাওয়া ও সাত নেতা-কর্মী আটকের ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রেজিস্ট্রারি মাঠে অনুমতি না পেলে স্থান পরিবর্তন করে নগরীর অন্য কোনো স্থানে সমাবেশ ও ঝটিকা মিছিল করবে জামায়াত- এমনটা নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জামায়াত কোনো ধরনের সহিংসতার চেষ্টা করলে পুলিশ ছাড় দেবে না বলে জানিয়েছে। ১০ দফা দাবিতে আজ বেলা ২টায় সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশের ডাক দেয় মহানগর জামায়াত। সমাবেশের অনুমতি চেয়ে গত ৫ জুলাই তারা সিলেট মহানগর পুলিশের কাছে আবেদনও করে। সমাবেশ সফলে তারা প্রস্তুতিও নেয়। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি।গতকাল বেলা ১১টার দিকে সমাবেশস্থল রেজিস্ট্রারি মাঠ পরিদর্শনে যান জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ সময় রেজিস্ট্রারি মাঠ এলাকায় কড়া নজরদারিতে দেখা গেছে পুলিশকে। রেজিস্ট্রারি মাঠ পরিদর্শনকালে জামায়াত নেতাদের অনুমতি নিয়ে আসার কথা জানায় পুলিশ। অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করতে না দেওয়ার কথাও জানিয়ে দেন পুলিশ কর্মকর্তারা। জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা পরিদর্শন শেষে রেজিস্ট্রারি মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় পুলিশ সাতজনকে আটক করে।

এদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- বিয়ানীবাজার উপজেলার খশির গ্রামের সিদ্দিক আহমদের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৪৩), বালাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে এ এস এম রুবেল (২৩), কানাইঘাটের বড়দেশ গ্রামের আলী আহমদের ছেলে মারুফ আহমদ (১৮), নগরীর উত্তর বাগবাড়ি এলাকার মৃত এরফান উদ্দিনের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৫৮) ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার বাগেরকোনা গ্রামের মৃত আবদুল জব্বারের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩৮)।

কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখা হবে তাদের মধ্যে নাশকতার কোনো পরিকল্পনা ছিল কি না। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না সেটাও যাচাই-বাছাই চলছে।

সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলাম জানান, শেষ পর্যন্ত অনুমতি পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তারা। তিনি বলেন, ‘দেশের অনেক জায়গায় দেখা গেছে শেষ সময়ে পুলিশ অনুমতি দেয়। সিলেটেও আমরা আশাবাদী পুলিশ সমাবেশের অনুমতি দেবে। পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কথাবার্তায় আমরা এ ব্যাপারে আশ্বস্তও হয়েছি। আর অনুমতি না পেলে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরব।’

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানিয়েছেন, অনুমতি ছাড়া তাদের সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর