বিদেশি পর্যবেক্ষকদের খসড়া নীতিমালা নিয়ে দুই দফা আন্তমন্ত্রণালয় মতবিনিময় সভা করেছে। আগামী সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনের সভায় প্রস্তাবিত নীতিমালা উপস্থাপান করা হবে। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বোর্ড, তথ্য মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। অতিরিক্ত সচিব বলেন, গত ২৩ আগস্ট আমরা আন্তমন্ত্রণালয় প্রথম সভা করেছিলাম। আজকে (গতকাল) আমরা দ্বিতীয় সভা করলাম, এটা শেষ সভা। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নীতিমালার খসড়া করে সেটি কমিশনের কাছে উপস্থাপন করব। কমিশনের অনুমোদনের পরে সেটি পাবলিক হবে। এর আগে খসড়ার বিস্তারিত নিয়ে তো আমরা বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না। এ কর্মকর্তা জানান, খসড়া নীতিমালায় বিভিন্ন রকমের বিষয় আছে। রবিবার বা সোমবার খসড়াটা চূড়ান্ত করে কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। প্রস্তাবনা নিয়ে বিস্তারিত কিছু না জানালেও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ‘অভিজ্ঞতা’ লাগবে বা পেশাদার পর্যবেক্ষক বিষয়ে সুপারিশ করা হতে পারে বলে জানান তিনি। কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘ব্যাপক কোনো চেঞ্জ নেই। কারণ এটা যাতে অবজারভার ফ্রেন্ডলি গাইডলাইন করতে পারি সে বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছি। অভিজ্ঞতার বিষয়টি থাকতে পারে, পেশাদার পর্যবেক্ষকদের বিষয়েও সুপারিশ করতে পারি। আমরা অনেক কিছুই সুপারিশ করতে পারি। তবে কমিশন কোনটা রাখবে তা কমিশনের সিদ্ধান্ত।’ আগামী ডিসেম্বরের শেষ কিংবা জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা ইসির। তার আগে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা হতে পারে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পরে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি যাবে, নির্ধারিত সময়ে তারা আবেদন করবে।
ভোট কেন্দ্রের বেশি আপত্তি কুমিল্লায় কম আপত্তি সিলেটে : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে করা ভোট কেন্দ্রের খসড়া তালিকার ওপর সারা দেশে ৮৫৯টি আপত্তি জমা পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাবি-আপত্তি জমা পড়েছে কুমিল্লা অঞ্চলে, ১৯৮টি। আর সবচেয়ে কম দাবি-আপত্তি এসেছে সিলেট অঞ্চলে, ৪৫টি। ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে। ইসিসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ অঞ্চলে ১২৪, ঢাকা অঞ্চলে ১১৫, রংপুর অঞ্চলে ৭৬, রাজশাহী অঞ্চলে ৭৬, খুলনা অঞ্চলে ৬২, বরিশাল অঞ্চলে ৬২, ফরিদপুর অঞ্চলে ৪৭ ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৫৪টি দাবি-আপত্তি জমা পড়েছে বলে জানা যায়।