স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলীদের গ্রাম বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, রাস্তাঘাট নির্মাণ ব্যয় অত্যধিক কিন্তু এর স্থায়িত্ব কম। এলজিইডির দুর্নীতির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে। ছাত্র, কৃষক-শ্রমিক জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো তার একমাত্র লক্ষ্য রাষ্ট্র সংস্কার। এ সংস্কারের অংশ হিসেবে দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এলজিইডির আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও অগ্রগতিবিষয়ক পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
হাসান আরিফ বলেন, বন্যাপরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা করা এখন একান্ত জরুরি। সাম্প্রতিক বন্যায় রাস্তাঘাটের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দুর্যোগকালীন একটি গোষ্ঠী খুশি হয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসব গোষ্ঠীর হয়তো দুর্নীতির নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়। কিন্তু এসবকে গুরুত্ব দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কাজের গুণগতমানের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না।
দেশের রাস্তাঘাট নির্মাণ ব্যয় অত্যধিক- এমন অভিযোগের জবাবে হাসান আরিফ বলেন, আমাদের দেশের রাস্তাঘাট নির্মাণ ব্যয় অত্যধিক কিন্তু এর স্থায়িত্ব কম। এমন অভিযোগ প্রায় আসে। এলজিইডির দুর্নীতির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে।
নারীর ক্ষমতায়নে এলজিইডিকে সহায়ক ভূমিকা পালন করার পরামর্শ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এলজিইডি গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে। গ্রামে গ্রামে চলমান কর্মযজ্ঞে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর পাশাপাশি গড়ে তুলতে হবে নিরাপদ কর্ম পরিবেশ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে পর্যালোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, অতিরিক্ত সচিব ড. শের আলী খান, মো. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।