খুলনার দাকোপে পাঁচটি মন্দিরে চাঁদা চেয়ে উড়োচিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়- দুর্গাপূজা করতে হলে প্রত্যেক মন্দিরকে ৫ লাখ টাকা করে চাঁদা দিতে হবে। এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ কাজ করছে। তবে কোনো একটি পক্ষ উদ্দেশ্যমূলক ভীতি তৈরি করতে উড়োচিঠি দিচ্ছে বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। জানা যায়, দাকোপ উপজেলায় ৫৯টি মন্দির আছে। এর মধ্যে কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের দুটি, সুতারখালি একটি ও কামারখোলা ইউনিয়নের দুটি মন্দিরে উড়োচিঠি দেওয়া হয়। গত দুই দিনে পাঁচটি মন্দিরের পক্ষ থেকে দাকোপ থানায় জিডি করা হয়েছে। কামারখোলা দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শেখর চন্দ্র গোলদার বলেন, আগে থেকেই এবার ছোট পরিসরে পূজা করার আলোচনা চলছিল। তবে চিঠি পাওয়ার পর অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
জানা যায়, কম্পিউটারে কম্পোজ করা প্রতিটি চিঠির বক্তব্যই এক। হলুদ খামের ওপর প্রাপক হিসেবে মন্দিরের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। মন্দিরের সভাপতি/ সম্পাদককে উদ্দেশ করে এসব চিঠি লেখা হয়েছে। দাকোপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘উড়োচিঠির বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। মনে হচ্ছে একটি পক্ষ ভীতি তৈরি করতে এ ধরনের উড়োচিঠি দিয়েছে। তারপরও মন্দির সুরক্ষায় আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর টিমসহ থানা থেকে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে।