সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে পাঠ্যাভ্যাস তৈরি ও দেশীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করেছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেট লাইফ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় তিনটি গাড়ির মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলা এবং সংলগ্ন উপজেলা ও বিভিন্ন শহরের ১২৮টি স্থানে এই বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রাঙ্গণে উৎসবের উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুবিভাগ) নাফরিজা শ্যামা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন এবং মেট লাইফ ফাউন্ডেশনের কমিউনিকেশন বিভাগের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারিয়া মাহবুব।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কথা বলতে গেলে আমি সবসময় নস্টালজিক হয়ে পড়ি। কারণ পাবলিক লাইব্রেরির পাশাপাশি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ছিল আমার বই পড়ার অন্যতম জায়গা। বর্তমান সময়ে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যাতে সত্যিকারের আলোকিত মানুষ গড়ার পথ সুগম হয়। বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বই-ই পারে মানুষের হতাশা দূর করে জীবনকে আনন্দে পরিপূর্ণ করতে। তাই সবসময় এই বই পড়ার উদ্যোগকে অব্যাহত রাখতে হবে।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ব্রিটিশরা চায়ের নেশা ধরিয়ে দিয়েছিল আর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বইয়ের নেশা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করছে।
প্রায় আড়াই কোটি পাঠককে বিনা পয়সায় বই পড়িয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। বই সবার জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে এই প্রচেষ্টা। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র কাজ করে যাচ্ছে।