বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নযন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, ‘আমাদের ইচ্ছা আছে এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এনসিটি, লালদিয়া এবং বে-টার্মিনাল- এই তিনটি ক্ষেত্রেই প্রথম অপারেটরকে অন্ততপক্ষে নিয়োগ দেওয়ার।’ তিনি গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর ফটকে এজেন্ট ডেস্ক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন। এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতীয় স্বার্থ। দেশের জন্য যেটা ভালো হবে সেটা করতে হবে। এনসিটিতে (নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল) যদি আমরা ড্রাই ডককে দিয়ে সর্বোচ্চ সক্ষমতা অর্জন করতে পারি, তাহলে খুবই ভালো। আর যদি মনে হয় না, এখানে আরও কিছু টেকনোলজিক্যাল অ্যাডভানটেজ আনা সম্ভব, সেই রাস্তায় যাওয়ার চেষ্টা করব। ইন্টারন্যাশনাল একটা টেন্ডার করার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে চাই ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বন্দর-সক্ষমতা চার-পাঁচ গুণ বেড়ে যাবে। সেজন্য আমরা সঠিক পদক্ষেপগুলো নিচ্ছি। ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের বড় যে বন্দরগুলো আছে সেগুলোর কিছু উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করে দিয়ে যেতে চাই। কিছু চুক্তি করে দিতে চাই। কিছু গ্রাউন্ড ব্রেক করা শুরু হয়ে যাবে। এমন একটি জায়গায় আমরা নিয়ে যাব, যেখানে চাকা গড়ানো শুরু করবে। তা আর থামানো সম্ভব না। নির্বাচনের পর যে রাজনৈতিক সরকার আসবে, তাদের সেটেল হতে সময় লাগবে। ওই সময়টাতে যেন কোনো কাজ থেমে না থাকে। এই কাজগুলো যেন এগিয়ে যেতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর যদি ঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে বাকি সব উন্নয়ন প্রকল্প যেমন বেজা, বেপজা, হাইটেক পার্ক, শিল্পায়ন সব ক্ষেত্রে আমরা আটকে যাব।