সীমান্তবর্তী তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৪ আসন। পর্যটন ও খনিজসম্পদে ভরপুর এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে বিএনপির হাফ ডজনের বেশি নেতা মাঠে আছেন। জামায়াত, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট ও ইসলামী আন্দোলন একক প্রার্থী ঘোষণা করে মাঠে তৎপর রয়েছে।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, মহানগরের সাবেক সেক্রেটারি বদরুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আবদুল হাকিম চৌধুরী ও হেলাল উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান সেলিম ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা আবদুল হক। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীনকে এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি আলী হাসান উসামা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা নাজিম উদ্দিন কামরান ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সাঈদ আহমদ।
জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী জাতীয় ছাত্রসমাজের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মুজিবুর রহমান ডালিম।
আরিফুল হক চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে জৈন্তাপুরের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ করছেন। সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন না পেলে সিলেট-৪ থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তার। এমন আভাস দিয়েছেন তার ঘনিষ্টজনদের।
কয়েক মাস ধরে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মিফতাহ সিদ্দিকী। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী নিয়ে কোম্পানীগঞ্জে তিনি বিশাল সমাবেশ করেছেন। গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রার্থী হওয়ার জানান দিচ্ছেন।
বদরুজ্জামান সেলিম ৫ আগস্টের পর যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে জৈন্তাপুর উপজেলায় সভা-সমাবেশ করে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আবদুল হাকিম চৌধুরী নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে গত প্রায় তিন দশকে আসনটিতে জামায়াতের সাংগঠনিক অবস্থা আগের চেয়ে শক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। জামায়াতের প্রার্থী জয়নাল আবেদীন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান।
সিলেট-৪ আসনে ধর্মভীরু আলেম ভক্তদের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। এই ভোট ব্যাংকে চোখ রেখে প্রার্থী দিয়েছে ইসলামী দলগুলো।