কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাঁও উপজেলা নিয়ে কক্সবাজার-৩ আসনটিতে সব সময় বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়ে থাকে। এখানে এবার বিএনপির প্রার্থী দুজন। তারা হলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবীবিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান। অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর। তিনি ভিপি বাহাদুর নামেই বেশি পরিচিত। এ ছাড়া আসনটিতে এবি পার্টির প্রার্থী হিসেবে এক সময়ের শিবির নেতা জাহাঙ্গীর কাসেম ও সাবেক ছাত্রনেতা সরওয়ার সাঈদের নাম আলোচনায় রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কক্সবাজার জেলা শাখার আমির মাওলানা আ হ ম নুরুল কবির হিলালীও মনোনয়নপ্রত্যাশী। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী দলটির জেলা সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম মীর।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির লুৎফুর রহমান কাজল। এবারও মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে এখানে তার প্রার্থিতায় বাধা হয়ে আছেন আরেক সাবেক এমপি মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান। তিনি দীর্ঘদিন দলীয় পদে না থাকলেও সম্প্রতি তাঁকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে। ফলে তিনিও অন্যতম মনোনয়নপ্রত্যাশী। কে প্রার্থী হবেন এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে সাবেক দুই এমপির সমর্থকদের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে এক প্রকার ‘যুদ্ধ’ চলছে। বিএনপি থেকে বারবার জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হলেও এ আসনে জামায়াতের সাংগঠনিক কার্যক্রম মজবুত। পরপর দুবার সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বিএনপিকে হারিয়ে জামাায়াত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে কাজ করছেন। দলীয়ভাবেও আমাদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে। দিনশেষে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার জন্যই বিএনপি নেতা-কর্মীরা কাজ করবেন। জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্র ও মহল্লা কমিটি গঠনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের জনপ্রিয়তা ও আস্থা বেড়েছে। আমরা দিনদিন উন্নতি করছি, জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী।